ইউক্রেনে এযাবৎকালের সবচেয়ে বড় ড্রোন হামলায় চালিয়েছে রুশ সেনাবাহিনী। এতে নিহত হয়েছেন অন্তত ১২ জন এবং আহত হয়েছেন আরও ৬০ জন।রোববার (২৫ মে) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে পোস্ট করা এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছেন ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইহর ক্লাইমেঙ্কো। বার্তায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লিখেন, এটি ছিল ইউক্রেনের বেসামরিক লোকজনকে লক্ষ্য করে পরিচলনা করা সমন্বিত ও নিষ্ঠুর একটি হামলা। শত্রুরা আরও একবার জানান দিলো যে তাদের লক্ষ্য হলো কেবল হত্যা ও ভীতি সঞ্চার করা।পৃথক এক পোস্টে রাশিয়ার এই ড্রোন হামলার কঠোর সমালোচনা করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি। রাশিয়ার ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা জারি করতে যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে পোস্ট করা এক বার্তায় জেলেনস্কি লিখেন, “যুক্তরাষ্ট্র এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশের নিশ্চুপ থাকা এই যুদ্ধ থামাতে কোনো সহযোগিতা করছে না, বরং পুতিনকে আরও উৎসাহিত করছে। শনিবার যে হামলা চালাল আগ্রাসনকারী রুশ বাহিনী— রাশিয়ার ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা জারির জন্য এ ধরনের হামলা যথেষ্ট।”জেলেনস্কির এই আহ্বানকে সমর্থন করে পৃথক এক টেলিগ্রাম পোস্টে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের দপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তা বা চিফ অব স্টাফ আন্দ্রিয়ে ইয়েরমাক, “মস্কো ততদিন লড়াই করবে, যতদিন তাদের অস্ত্র উৎপাদনের ক্ষমতা থাকবে। তাই রাশিয়াকে যদি চাপে রাখা না যায়, এই যুদ্ধ থামবে না।”এমআর-২
Source: সময়ের কন্ঠস্বর