নোয়াখালীর সেনবাগ থানায় দায়ের করা এক মামলার প্রধান আসামি হয়েও ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা মিজানুর রহমান। পরে সমালোচনার মুখে তাকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড (সংযুক্ত) করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার (২২ মে) সন্ধ্যায় ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “মিজানুর রহমান এজাহারভুক্ত আসামি—এটি আমাদের জানা ছিল না। জানলে তাঁকে ওসি হিসেবে পদায়ন করা হতো না। বিষয়টি জানার পর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়ে তাঁকে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।”এর আগে, গতকাল বুধবার (২১ মে) “মামলার আসামি হয়েও ওসি পদে পদায়ন !” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়ের কণ্ঠস্বর। এরপরই পুলিশ প্রশাসনের অভ্যন্তরে এবং জনমনে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।পুলিশের সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের ১৮ আগস্ট সেনবাগ থানায় বিএনপি নেতা নুরনবী বাচ্চু বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। অভিযোগে বলা হয়, ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট এবং ‘ক্রসফায়ারে’ হত্যার হুমকি দিয়ে অর্থ আদায় করেন তৎকালীন ওসি মিজানুর রহমান। মামলায় তাঁকে প্রধান আসামি করা হয়।এ বিষয়ে জানতে ওসি মিজানুর রহমানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।এর আগে মিজানুর রহমান ভালুকা মডেল থানায় পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গত ১৯ মে ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলমের স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাঁকে কোতোয়ালী থানার ওসি হিসেবে পদায়ন করা হয়। পরদিন ২০ মে মামলার বিষয়টি আলোচনায় এলে তিনি ছুটিতে চলে যান।এটাই প্রথম নয়, এর আগেও বিতর্কে জড়িয়েছেন মিজানুর রহমান। ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারিতে নোয়াখালীর সেনবাগ থানার ওসি থাকা অবস্থায় অনিয়মের অভিযোগে তাঁকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়।ওই সময়ের একটি ঘটনায় অভিযোগ ওঠে, ১৯ জানুয়ারি সেনবাগ উপজেলা যুবলীগ নেতা মোজ্জামেল হোসেন রাসেলকে থানায় ডেকে এনে ওসি মিজান নিজ কক্ষে দরজা বন্ধ করে অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও মারধর করেন।এমআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর