পরীক্ষার ফরম পূরণ করতে পারেননি বরিশাল নার্সিং কলেজের আন্দোলনরত পোস্ট বেসিক বিএসসি নার্সিং শিক্ষার্থীরা। শিক্ষকদের অসহযোগিতার কারণে শেষদিনেও চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীরা ফরম পূরণ করতে পারেননি।শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তাদের শাটডাউন কর্মসূচিতে হামলাকারী তিন শিক্ষককে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত এবং প্রবেশ করতে না দেওয়ায় চার শতাধিক শিক্ষার্থীকে ফরম পূরণ করতে দেয়নি কলেজ কর্তৃপক্ষ। ফলে চার শতাধিক শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চয়তার দিকে।সোমবার (১৯ মে) সকালে নার্সিং শিক্ষার্থীদের মিডিয়া সেল সূত্রে জানা গেছে, ফরম পূরণের দাবিতে তারা গত ১৮ মে সংবাদ সম্মেলন করেও কোন সুফল পাননি।নার্সিং শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, মন্ত্রণালয়ের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কেন্দ্রীয়ভাবে গত ১৬ মে নার্সিং কলেজে চলমান শাটডাউন কর্মসূচি সাময়িকভাবে শিথিল করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে আশ্বস্ত করা হয়েছে, বরিশাল নার্সিং কলেজে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারী ইন্সট্রাক্টর আলী আজগর, ফরিদা বেগম ও সাইফ হোসেন রনি মোল্লার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।শিক্ষার্থীরা বলেন, কর্মসূচি শিথিলসহ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার বিষয়টি তারা কলেজ অধ্যক্ষকে গত ১৬ ও ১৭ মে জানিয়েছেন। পাশাপাশি একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রেখে প্রশাসনিক কার্যক্রম চালু রাখার অনুরোধ করেছেন। তবে আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করা তিন শিক্ষককে কলেজে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়।শিক্ষার্থীরা আরও জানিয়েছেন, আমাদের কলেজে ৩২ জন শিক্ষক। তাদের মধ্যে তিনজন বাদ দিয়ে বাকি ২৯ জনকে প্রশাসনিক কার্যক্রম চালিয়ে নিতে বলা হয়েছে। এতে শিক্ষকরা রাজি হননি। তারা ওই তিনজনকে নিয়েই কলেজে প্রবেশ করতে চান।এমনকি গত ১৬ মে থেকে ফরম পূরণের বিষয়ে অধ্যক্ষসহ অন্য শিক্ষকদের একাধিকবার বলা সত্বেও তারা বিষয়টি গুরুত্ব দেননি। শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, ১৮ মে দুপুরে শিক্ষার্থীদের সংবাদ সম্মেলন চলাকালীন কলেজ অধ্যক্ষ ওই তিন শিক্ষককে সাথে নিয়ে ক্যাম্পাসে আসেন। ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা তিন শিক্ষককে নিয়েই দুপুর আড়াইটার দিকে প্রশাসনিক ভবনে প্রবেশের চেষ্টা করেন অধ্যক্ষ।এনিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাগবিতন্ডা হয়। পরে শিক্ষকরা ফরম পূরণ না করেই ফিরে যান। শিক্ষার্থীরা বলেন, যেখানে মন্ত্রণালয় আমাদের দাবির বিষয়টি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন, সেখানে আমাদের কলেজ কর্তৃপক্ষ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আমাদের সাথে অবিচার করছে। ১৮ মে শেষদিনেও আমাদের চারশ’ শিক্ষার্থীর চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষার ফরম পূরণ করা হয়নি।ফলে আমাদের শিক্ষাজীবন এখন অনিশ্চিত। এ বিষয়ে বরিশাল নার্সিং কলেজের অধ্যক্ষ হোসনে আরা আক্তার রুমি বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই তাদের ফরম পূরণের জন্য ক্যাম্পাসে গিয়েছিলাম। কিন্তু শিক্ষার্থীরাই আমাদের প্রশাসনিক ভবনে প্রবেশ করতে দেয়নি। অনেকক্ষণ অপেক্ষা করে তাই বাধ্য হয়ে ফিরে এসেছি।পিএম
Source: সময়ের কন্ঠস্বর