ভোলার লালমোহন উপজেলায় লালমোহন সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হেলাল উদ্দিন ও সহকারী প্রধান শিক্ষক আবু তৈয়বের পদত্যাগের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।সোমবার (১৯ মে) সকাল ১১টায় লালমোহন সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে ভোলা-চরফ্যাশন মহাসড়কের উপরে টায়ার জ্বালিয়ে এই বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। এসময় তাদের সাথে সাধারণ জনতা ও প্রাক্তন ছাত্রদেরকেও যোগ দিতে দেখা যায়।বিক্ষোভকারী কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, সরকারি বিদ্যালয় হওয়ার পরেও বেসরকারি বিদ্যালয় গুলোর চেয়ে বিভিন্ন সময় অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হচ্ছে। বিদ্যালয়ের ল্যাব ও অবকাঠামোর প্রয়োজনীয় সামগ্রীও বিক্রি করে ফেলেছেন ওই দুই শিক্ষক। এছাড়াও প্রধান শিক্ষক হেলাল উদ্দিন বিদ্যালয়ের জমি বিক্রি এবং লিজ দিয়ে টাকা আত্মসাৎ করেছেন।জানা যায়, ভোলা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নূরুন্নবী চৌধুরী শাওন প্রধান শিক্ষক হেলাল উদ্দিনের চাচাতো ভাই এবং সহকারী প্রধান শিক্ষক আবু তৈয়ব চাচাতো বোন জামাই। সেই সুবাধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিদ্যালয়ের জমি, বাজারের কিছু জায়গা বিক্রি করে দেন। এছাড়াও ক্ষমতার দাপট দিয়ে বিভিন্ন সময়ে নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়েন ওই দুই শিক্ষক।এদিকে গেল ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর জনরোশের ভয়ে পলাতক হন ওই দুই শিক্ষক। দীর্ঘদিন স্কুলে অনুপস্থিত থাকায় এর আগেও তাদের অপসারণের দাবিতে একাধিকবার মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।অভিযোগের বিষয়ে জানতে প্রধান শিক্ষক হেলাল উদ্দিনের কাছে ফোন করা হলে তিনি জানান, তাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে, এসব অভিযোগের সত্যাতা নেই। সাংবাদিকের কোন প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে তিনি ব্যস্ত আছেন বলে ফোনের সংযোগ বিভিন্ন করে দেন।অপর সহকারী প্রধান শিক্ষক আবু তৈয়বের কাছে জানতে তার ফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহ আজিজ বলেন, এ বিষয়ে একটি তদন্ত চলমান আছে। তদন্ত প্রতিবেদনটি ৭ কর্মদিবসের মধ্যে দেওয়ার কথা রয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে এবিষয়ে কথা বলবো যাতে দ্রুততম সময়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয় এবং তদন্তে অনিয়ম প্রমানিত হলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।এআই
Source: সময়ের কন্ঠস্বর