২০ বছরের এক তরুণ। নাম ইমন মোড়ল। প্রতিদিনের মতোই সকালে কাজে এসেছিল কুতুবপুর বাজারের তার কর্মরত ফার্নিচার দোকানে। কেউ ভাবেনি, সেই সকালই হবে তার জীবনের শেষ সকাল।ইমন ছিলেন মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার ছিটুখার মুন্সীরকান্দি গ্রামের বাসিন্দা। বাবা ইদ্রিস মোড়ল ও মা তাসলিমা বেগমের একমাত্র ভরসা ছিলেন এই ছেলে। বয়স মাত্র ২০, কিন্তু চার বছর ধরে একটি ফার্নিচারের দোকানে কাজ করে সংসারের হাল ধরেছিলেন। স্বপ্ন ছিল–পরিবারের মুখে হাসি ফোটানোর।স্থানীয়রা জানান, রবিবার (১১ মে) সকালে ইমন বাড়ি থেকে স্বাভাবিকভাবেই বের হন। কুতুবপুর বাজারে এসে একটি দোকান থেকে রশি কেনেন। এরপর নিজ কর্মস্থলের দরজা বন্ধ করে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। চারপাশে এত মানুষ, এত পরিচিত মুখ—কিন্তু কেউ টেরও পেল না ইমনের ভেতরের গভীর যন্ত্রণা।ইমনের মৃত্যুতে এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। প্রতিবেশীরা বলছেন, ইমন ছিলেন শান্ত ও পরিশ্রমী ছেলে। কিন্তু কী এমন যন্ত্রণা ছিল, যা সে কাউকে না জানিয়ে চিরতরে চলে গেল?এই ঘটনার পেছনে হয়তো ব্যক্তিগত, মানসিক, কিংবা সামাজিক কোন অসহ্য চাপ কাজ করেছিল। আমরা জানি না, হয়তো কোনো দুশ্চিন্তা, অপমান বা ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তা তাকে এই কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছে।শিবচর থানার ওসি মো. রতন শেখ জানান, ” লাশটির বিষয়ে এখনো পরিস্কার করে কিছু বলতে পারছি না। তদন্ত চলছে। অফিসিয়ালি প্রক্রিয়া শেষ করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে। রিপোর্ট এলে বিস্তারিত জানা যাবে।”এমআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর