রাজশাহীর পুঠিয়ায় কথিত হাইব্রিড বিএনপি নেতাদের দ্বারা পরিচালিত কিছু গণমাধ্যম ও ফেসবুকে মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, অপবাদ ও বিভ্রান্তিকর তথ্য পরিবেশন করে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন পুঠিয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আল মামুন খান।রবিবার (১৮ মে) দুপুরে পুঠিয়া উপজেলা সদরে অবস্থিত বিএনপির কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব অভিযোগ তুলে ধরেন।সংবাদ সম্মেলনে আল মামুন খান বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে গত ২০ বছর ধরে আমি দলের আন্দোলন ও সাংগঠনিক কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছি। এ সময় আমার বিরুদ্ধে একাধিক মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে, গ্রেপ্তার হয়েছি, এমনকি মেয়র থাকা অবস্থায়ও সাসপেন্ড করা হয়েছে। আমি কারা নির্যাতনেরও শিকার হয়েছি। রাজশাহীর নেতাদের সঙ্গে আমি সব সময় মাঠে থেকেছি।তিনি অভিযোগ করেন, গত ৫ আগস্টের পর থেকে একটি অসাধু ও রক্তচোষা চক্র পুঠিয়ার সাধারণ মানুষকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন ও খুনের মাধ্যমে আতঙ্কিত করছে। এই চক্র কথিত কিছু অনলাইন সাংবাদিককে ব্যবহার করে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে, যা আমার ব্যক্তিগত সম্মান ও ভাবমূর্তি নষ্ট করছে।সম্প্রতি পুঠিয়ায় পুকুর টেন্ডার সংক্রান্ত একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাকে সন্ত্রাসী হিসেবে প্রচার করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১৬ মে আমি অসুস্থতার কারণে বাসায় ছিলাম। ঘটনাটি সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না। অথচ একটি বেসরকারি টেলিভিশনে আমাকে সন্ত্রাসী হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। কিছু অসাধু ব্যক্তি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে আমার সুনাম ক্ষুণ্ন করতে পরিকল্পিতভাবে এই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তারা চাইছে আমাকে রাজনৈতিকভাবে দুর্বল করতে, তাই নানা কৌশলে অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে সাংবাদিকদের জানান তিনি।তিনি বলেন, “যারা বিগত দিনে দলের আন্দোলনে মাঠে ছিল না, যাদের নামে একটি জিডিও নেই, তারাই এখন মিডিয়া ব্যবহার করে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি এসব ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত নই। কেউ যদি একটি প্রমাণও দিতে পারে, তাহলে আমি চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করছি।”আল মামুন খান দাবি করেন, “বিএনপির কিছু হাইব্রিড নেতা নিজেরাই এসব অপপ্রচারে জড়িত। আমি জেলা বিএনপির কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি এবং আশা করি তারা একটি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন ও দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।”তিনি আরও বলেন, পুকুর টেন্ডারসহ অন্যান্য অনিয়মে আওয়ামী লীগের ক্যাডার ভুট্টু বাহিনী জড়িত। একসময় হেলমেট পরে বিএনপির নেতাকর্মীদের ধরিয়ে দেওয়া এই ভুট্টু এখন নজরুল প্রফেসরের ছত্রছায়ায় বিএনপির নেতার ছদ্মবেশ ধারণ করেছে।সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন পুঠিয়া পৌর বিএনপির আহ্বায়ক আসাদুল ইসলাম, সদস্য সচিব মাজেদুল ইসলাম, ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আব্দুল হান্নান, ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আব্দুল জাব্বারসহ স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মী, গণমাধ্যমকর্মী, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ও সাধারণ জনগণ উপস্থিত ছিলেন।এমআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর