দেখভালের অভাবে কাঙ্ক্ষিত সুফল মিলছে না ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের স্ট্রিটলাইট বাতির। কোটি কোটি টাকার স্ট্রিট লাইট পড়ে আছে খাম্বার উপরে। কিন্তু আলো নেই। ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে বেড়েছে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যক্রম।সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ধামরাইয়ের ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে স্ট্রিট লাইট স্থাপনের কয়েক মাসের মধ্যে তা দেখতে অনেকটাই খেলনা লাইটের মত হয়ে গেছে। মহাসড়কে স্ট্রিট লাইটে বাতি থাকলেও আলো জ্বলে না কোন জায়গায়। নিয়মতান্ত্রিকভাবে এগুলো রক্ষানাবেক্ষণ ও সংস্কার বা দেখভালের কথা থাকলেও ঠিকমত দায়িত্ব পালন করছে না সড়ক ও জনপথের লোকজন। ফলে দেখভালের অভাবে কাঙ্খিত সুফল পাচ্ছে না সাধারণ জনগণ। এতে মহাসড়কে প্রতি নিয়ত বেড়েই চলেছে চুরি,ডাকাতি,ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধ।সাধারণ জনমনে প্রশ্নউঠেছে, মহাসড়কে নিন্মমানের স্ট্রিট লাইটের যন্ত্রাংশ সংযোজন করে একটি সিন্ডিকেট এই বরাদ্ধের বেশির ভাগ অর্থই হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে সড়ক ও জনপথের কর্মকর্তাদের উপরে। এই দিকে স্ট্রিট লাইট গুলি রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত না করায় অন্ধকারে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে মহাসড়কে জনপথের সাধারণ পথচারীসহ রিক্সাচালকদের।অন্যদিকে মহাসড়কে বাতিগুলো না জ্বলায় চলাচলের সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ জনগণ। ফলে সরকারের কোটি কোটি টাকা নষ্ট হয়েছে বলে মনে করছেন পথচারী জনগণ।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ধামরাই ইসলামপুর থেকে বারবাড়িয়া পর্যন্ত ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের অধিকাংশ স্ট্রিটলাইট গুলো অকেজো হয়ে পড়ে আছে। তবে স্ট্রিটলাইটের খুঁটিগুলো ঠিক দাঁড়িয়ে আছে জায়গায়। অনেক স্থানে দেখা যায় লাইটগুলো হারিয়ে গেছে। এছাড়া মহাসড়কের পাশে অনেক যাত্রীছাউনীর ল্যাম্পপোস্টের লাইটগুলোরও অধিকাংশ এক একটি খেলনার মত দাঁড়িয়ে রয়েছে। সেগুলোও এখন অকেজো ও দীর্ঘদিন বন্ধ রয়েছে।ধামরাই ইসলামপুর থেকে বারবাড়িয়া পর্যন্ত অনুমানিক প্রায় ৫শতাধিক স্ট্রিট লাইট স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন গুরুত্বপুর্ণ স্থানে পথচারীদের সুবিধার্থে স্ট্রিটসোলার লাইট গুলোও বসানো হয়েছে। এই মহাসড়কে এসব লাইটগুলো দেখভাল করার দায়িত্ব কার এমন প্রশ্ন সাধারণ জনগণের। নিয়মতান্ত্রিক ভাবে স্ট্রিটলাইটগুলো দেখার দায়িত্ব হচ্ছে সড়ক ও জনপথের লোকজনের। কিন্তু তারা লাইটগুলো লাগিয়ে যাওয়ার পর আর সেগুলো কোন খবর বা সংস্কার করে না। ফলে দিনের পর দিন পড়ে থাকতে থাকতে নষ্ট হয়ে যায়। এই বিষয়ে এক পথচারী জানায়, নিন্মমানের যন্ত্রাংশ বা উপকরণ দেওয়ায় সড়কের বাতিগুলো অকেজো হয়ে পড়ে আছে। রাত হলেই রাস্তার দুই পাশ দিয়ে নেমে আসে ঘুটঘুটে অন্ধকার। যার ফলে মহাসড়কে দিন দিন বেড়ে চলেছে চুরি,ডাকাতি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধ। স্থানীয় কতৃপক্ষকে বারবার বলার পরও বাতিগুলো ঠিক করছে না। তিনি আরো জানায়, অনেকে রাস্তার পাশে কোটি কোটি টাকার ব্যবসা করে যাচ্ছে। লাইট গুলো থাকলে তাদের জন্য অনেক ভাল হয়।এই বিষয়ে সুরুজ নামে এক গাড়ীর চালক বলেন, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কটি অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক। যেখানে দিন রাত ২৪ ঘন্টা গাড়ী চলাচল করে। বিশেষ করে রাতের বেলায় লাইটগুলো চালু থাকলে আমাদের গাড়ী চালাতে সুবিধা হয়। এ ছাড়া রাতে রাস্তার পাশে অপরাধও কম হয়।এই বিষয়ে নিরাপদ সড়ক চাই ধামরাই উপজেলার শাখার সভাপতি এম নাহিদ মিয়া জানান, সড়কে দূর্ঘটনার অন্যতম কারণ হচ্ছে সড়কের ক্রটি ও অব্যবস্থাপনা। ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে কাজের ধীরগতি। এছাড়া ধামরাই ইসলামপুর থেকে বারবাড়িয়া পর্যন্ত মহাসড়কে স্ট্রিটলাইট গুলো দীর্ঘদিন নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। এতে যানবাহনে চলাচলের ক্ষেত্রে বিরম্বনার স্বীকার হচ্ছে, ফলে সড়কে বাড়ছে দূর্ঘটনা। রাস্তায় বাতিগুলো না থাকায় পথচারীরা অন্ধকারে ছিনতাইয়ের কবলে পড়ছে।পুলিশ জানায়, মহাসড়কে স্ট্রিটলাইট গুলো বন্ধ থাকার কারণে রাস্তার পাশে অপরাধীরা বিভিন্ন ধরণের দূর্ঘটনা ঘটায়। এছাড়া লাইটগুলো থাকলে পুলিশের কাজ করতে সুবিধা হয়। এই বিষয়ে সড়ক ও জনপথের উপ সহকারী-প্রকৌশলী মোঃ ওসমান গনি সাংবাদিকদের বলেন, ধামরাই থেকে বারবাড়িয়া পর্যন্ত স্ট্রিটলাইটের তার ও যন্ত্রাংশ চুরি হয়ে যাওয়ার কারণে লাইট গুলো বন্ধ আছে। এর আগে চুর ধরে পুলিশে সোর্পদ করা হয়েছে কয়েকবার। স্ট্রিটলাইট বন্ধের বিষয়ে আমাদের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে, অতি দ্রুত লাইটগুলো মেরামত করে চালু করা হবে।এসআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর