পার্বত্য বান্দরবানের লামায় আবুল খায়ের টোব্যাকো কোম্পানির তামাক ক্রয় কেন্দ্রে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনায় লুন্ঠিত টাকার একাংশ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে লামা থানা পুলিশ। ডাকাতির ঘটনায় গত ১৪ তারিখ তিন জনকে আটক করে পুলিশ। পরে আটকৃটদের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের তথ্য মতে শুক্রবার (১৬ মে) রাত ৮ টার দিকে লামা পৌরসভা এলাকার সাবেক বিলছড়ি গ্রামের ওয়াসির আলীর পাহাড়ে মাটি খুঁড়ে ২ লাখ ৬৭ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। ওয়াসির আলী লামার চোর সিন্ডিকেটের অন্যতম গডফাদার করিম চোরের পিতা। এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে ডাকাত রহিমের মা কে আটক করে পুলিশ।উল্লেখ্য যে, গত ৯ মে ভোর রাতে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে একদল অজ্ঞাতনামা ডাকাত আবুল খায়ের টোব্যাকো কোম্পানির অফিস কক্ষে ঢুকে স্ট্যাফকে মারধর ও বেঁধে রেখে আলমারিতে রক্ষিত এক কোটি পঁচাত্তর লাখ ছয়শ আটত্রিশ টাকা নিয়ে যায়। ডাকাতির ঘটনায় ১০ মে লামা থানায় অজ্ঞাতনামা ১৫-২০ জনকে আসামী করে মামলা হয়।১২ মে লামা থানার ওসি তদন্তের নেতৃত্বে পুলিশ টিম পাশবর্তী চকরিয়া উপজেলা ও লামা পৌরসভায় পৃথক অভিযান চালিয়ে আরিফ,সাগর ও আব্দুর রহিম নামক তিনজনকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করে। এর মধ্যে একজনকে বান্দরবান জেল হাজতে পাঠানো হয়, দুইজনকে জিজ্ঞাবাদের জন্য রিমান্ডে দেন আদালত। রিমান্ডে জিজ্ঞেসাবাদের ভিত্তিতে আজ এই টাকা উদ্ধার করা হয়।লামা থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ তোফাজ্জল হোসেন বলেন, বান্দরবান পুলিশ সুপারের দিকনির্দেশনা মোতাবেক আসামিদের দেওয়া তথ্যমতে আজ অভিযান পরিচালনা করে পাহাড়ে মাটি খুঁড়ে ০২ লক্ষ ৬৭ হাজার টাকা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। এবং আব্দু রহিমের দেওয়া তথ্যমতে গতকাল তার বসতঘর থেকে ৫০ হাজার দু’শ টাকা উদ্ধার করেছি। এ ঘটনায় এই পর্যন্ত ৫ জনকে আটক করা হয়েছে।এনআই
Source: সময়ের কন্ঠস্বর