মাদারীপুরের শিবচরে গরু ডাকাতির অভিযোগে শাহিন সরকার (৫৫) নামে এক আওয়ামী লীগ কর্মীকে হাতেনাতে ধরে গণধোলাই দিয়েছে এলাকাবাসী। পরে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন।বৃহস্পতিবার (১৫ মে) ভোররাতে, উপজেলার মাদবরের চর ইউনিয়নের সিংহ কান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত শাহিন সরকার চরজানাজাত ইউনিয়নের কনাই সরকারের কান্দি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি নুরনাহার ও সেলিম সরকার দম্পতির সন্তান এবং সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান পরিবারের সদস্য। আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে স্থানীয় রাজনীতিতেও সক্রিয় ছিলেন তিনি।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভোরে শাহিনসহ কয়েকজন একটি নৌকায় করে বজলু মাদবরের বাড়িতে ডাকাতির উদ্দেশ্যে আসেন। তারা ঘরের দরজা বাইরে থেকে আটকে দিয়ে গরুর ঘরে প্রবেশ করেন। তবে বাড়ির লোকজন টের পেয়ে চিৎকার করলে আশপাশের মানুষ জড়ো হন। এ সময় ডাকাতেরা পালানোর চেষ্টা করে। শাহিন সরকার এক বৃদ্ধকে কোলে তুলে নিয়ে দৌড়াতে গেলে তাকে ধরে ফেলেন গ্রামবাসী। এরপর উত্তেজিত জনতা তাকে গণপিটুনি দেয়।পরে পুলিশ এসে শাহিনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।এলাকাবাসীর অভিযোগ, “শাহিন সরকার দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক প্রভাব দেখিয়ে এলাকায় দাপট দেখাচ্ছিলেন। আমাদের গ্রামে বারবার গরু চুরি এবং ডাকাতি হচ্ছিল। আমরা আগে থেকেই সন্দেহ করছিলাম। আজ তিনি হাতেনাতে ধরা পড়েছেন।”শিবচর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রতন শেখ বলেন, “ঘটনার খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”পিএম
Source: সময়ের কন্ঠস্বর