পার্বত্য বান্দরবানের লামা উপজেলার ২ লাখ মানুষের স্বাস্থ্য সেবায় লামা সরকারি হাসপাতালে এখন ২ জন ডাক্তার। মাত্র দুইজন ডাক্তার দিয়েই চলছে উপজেলার ২ লাখ মানুষের স্বাস্থ্য সেবা।গত ৫ মে মেকি মার্মা নামে নতুন একজন ডাক্তার যোগদান করলেও তিনি বান্দরবান জেলা পরিষদের সুপারিশে ডেপুটেশনে বান্দরবান সদর হাসপাতালে বসবেন। এতে ভোগান্তিতে পড়ছে লামার দুই লাখ মানুষ। জনমনে প্রশ্ন উঠেছে লামার মানুষের সাথে জেলা পরিষদ বার বার কেন বৈষম্য করছে।লামা হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, হাসপাতালে আউটডোরে ২৫০ জন রোগী চিকিৎসা সেবা নিয়েছে এবং ইনডোরে ৮৫ জন ভর্তি আছে। এ নিয়ে লামা বাসীর মুখে নানান প্রশ্ন উঠেছে, অনেকে বলছেন ২ জন ডাক্তার কিভাবে এত রোগীর সেবা দিবে? আবার অনেকে বলছেন জেলা পরিষদ লামাবাসীর কষ্ট বুঝেনা, নাকি ইচ্ছে করে লামাবাসীকে কষ্ট দেয়া হচ্ছে। এদিকে বিদ্যুৎ সমস্যার কারণে সবসময় পানি ঘাটতি, ঔষধ সংকট, এ্যাম্বুলেন্স নষ্ট, চিকিৎসা সম্পর্কিত যন্ত্রপাতি নষ্ট ও স্টাফ সংকট চরমে। ভুতুড়ে পরিস্থিতি বিরাজ করছে লামা হাসপাতালে। অনেক সময় রোগীরা অন্ধকারে থাকে। এ যেন এক গল্পের কাহিনি। সবাই শুধু চুপচাপ দেখেই যাচ্ছে।এ বিষয়ে জানতে চাইলে বান্দরবান সিভিল সার্জন মো. শাহীন হোসাইন চৌধুরী বলেন, আমি সদ্য যোগদান করেছি। লামা হাসপাতালের সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নেয়া হবে।বান্দরবান জেলা পরিষদ সদস্য লামা-আলীকদমের (দায়িত্ব) সাইফুল ইসলাম রিমন বলেন, বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আহ্বায়ক বান্দরবান জেলা পরিষদের সম্মানিত সদস্য আবুল কালাম ভাইয়ের সাথে আলাপ হয়েছে। আশা করি স্বল্প সময়ের মধ্যে সবকিছু সমাধান করে লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স স্বাভাবিক নিয়মে পরিণত হবে।এমআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর