পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে(পাবিপ্রবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ‘এ’ ইউনিটের (বিজ্ঞান) ভর্তি পরীক্ষা সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) কেন্দ্রে এবারে ভর্তি পরীক্ষায় অভিভাবকদের ভোগান্তি লাঘবে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে পাবিপ্রবি প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এই আতিথেয়তায় খুশি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।শুক্রবার ( ৯ মে ) বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিয়ারিং ভবন, একাডেমি ভবণ-১,একাডেমি ভবণ-২, এম এ ওয়াজেদ আলী মিয়া বিজ্ঞান ভবন ও মহুয়া ভবনে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা শুরুর পর পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম আব্দুল-আওয়াল, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. শামীম আহসান।এবছর তীব্র গরমে শিক্ষার্থীদের সাথে আসা অভিভাবকদের ভোগান্তি ও কষ্ট লাঘব করতে পাবিপ্রবি প্রশাসনের উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুলের শেডের নিচে বসার চেয়ার, ফ্যান, বিশুদ্ধ পানি, নাস্তা ও মেডিকেল সেবার ব্যবস্থা করা হয়। পাশাপাশি পরীক্ষার্থীদের জন্যও পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে পর্যাপ্ত পানির ও প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা রাখা হয়। প্রচণ্ড গরমে এসব মানবিক উদ্যোগে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের দুর্ভোগ অনেকটাই লাঘব করেছে।বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এ ধরনের মানবিক ও দায়িত্বশীল পদক্ষেপের প্রশংসা করছে উপস্থিত পরিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।নওগাঁ থেকে আসা অভিভাবক গোলাম রহমান বলেন, “প্রথমবারের মতো এই বিশ্ববিদ্যালয়ে এলাম। কিন্তু প্রশাসনের আন্তরিক ব্যবস্থাপনা দেখে খুব ভালো লাগছে। খোলা জায়গায় ছায়া, পানির ব্যবস্থা, বসার চেয়ার—সবকিছু মিলিয়ে গরমের মধ্যে অপেক্ষার সময়টুকু অনেকটা আরামে কেটেছে।”রংপুর থেকে আসা আরেক অভিভাবক আব্দুল কুদ্দুস জানান, “বাচ্চারা ভেতরে পরীক্ষা দিচ্ছে, আর আমরা বাইরে দুশ্চিন্তায় থাকি—এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু পাবিপ্রবিতে এসে সেই দুশ্চিন্তাও যেন কিছুটা কমে গেছে। এমন সুন্দর আয়োজন ও যত্নের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই।”পাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম আব্দুল-আওয়াল বলেন, “আমরা চেষ্টা করেছি শুধু পরীক্ষার্থীদেরই নয়, অভিভাবকদেরও সর্বোচ্চ স্বস্তি দিতে। যাঁরা দূরদূরান্ত থেকে এসেছেন, তাঁদের যেন গরমে কষ্ট না হয়—সে কারণে বসার জায়গা, খাবার পানি, হালকা নাস্তা ও মেডিকেল সহায়তার ব্যবস্থা রেখেছি। ভর্তি পরীক্ষার পরিবেশ যেন সবার জন্য ইতিবাচক হয়, সেটিই ছিল আমাদের মূল লক্ষ্য।”এইচএ
Source: সময়ের কন্ঠস্বর