ভোলায় বাস শ্রমিক ও সিএনজি অটোরিকশা চালকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনায় তৃতীয় দিনের মতো চলছে ধর্মঘট। বন্ধ রয়েছে ভোলার অভ্যন্তরীণ ৫টি রুটের বাস চলাচল। মঙ্গলবার (৬ মে) সকাল থেকে ভোলার বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল বাসটার্মিনালের সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন বাস শ্রমিকরা।সকাল থেকে বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল বাসটার্মিনালের ভোলা- চরফ্যাশন আঞ্চলিক মহাসড়কে বাঁশ ও টেবিল বসিয়ে সড়ক অবরোধ করে টায়ার জ্বালায়ে বিক্ষোভ করেন বাস শ্রমিকরা। এসময় তারা ছোট বড় সকল যানবাহন চলাচলে বাঁধা প্রদান করতে দেখা যায়।এদিকে সকালে ভোলা জেলা প্রশাসক মো.আজাদ জাহানের উপস্থিতিতে তার সম্মেলন কক্ষে বাস মালিক সমিতি ও বাস শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাকর্মী এবং সিএনজি অটোরিকশা চালকদের সাথে একটি মতবিনিময় সভা চলছে। সভাটি ফলশ্রুতি পেলে হয়তো বাস শ্রমিকদের ডাকা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট প্রত্যার করবেন।বাস শ্রমিকরা বলছেন, মহাসড়কে সিএনজি অটোরিকশাকে অবৈধ ঘোষনা করে সেগুলো বন্ধ ও বাস শ্রমিকদের উপর হামলা ভাঙচুরের বিচার না হওয়া পর্যন্ত তাদের ডাকা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট চলবে। এছাড়াও তাদের দাবি না মানা পযন্ত আর কোনো সমঝোতা ফিরবেন না তারা। এদিকে সিএনজি অটোরিকশা চালকরা বলছেন, বাস শ্রমিকরা প্রায়ই তাদের সাথে ঝামেলা করে। তাদের উপর জুলুম করেই সিএনজি অটোরিকশা ভাংচুর করেছে। সিএনজি অটোরিকশা সরকার থেকে লাইসেন্স নিয়ে রাস্তায় নামানো হয়। যেহেতু সিএনজি অটোরিকশার রুট পারমিট রয়েছে, সেহেতু এটাকে অবৈধ ঘোষণা করার দাবী অযৌক্তিক বলেও জানান তারা।যান চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীদের ভোগান্তিতে তারা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। তারা বলছেন কয়েকদিন পর পর বাস শ্রমিকরা গাঁয়ের জোড়ে ধর্মঘট ডাকেন। যা একেবারেই অপ্রত্যাশিত। সকাল থেকে জেলার চরফ্যাসন, লালমোহন ও তজুমুদ্দিন উপজেলার মতো দূর-দূরান্ত থেকে আসা যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। অনেকে বাধ্য হয়ে ছোট ছোট যানবাহন ইজিবাইক, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেলে করে গন্তব্যে স্থানে যাচ্ছেন। এতে অতিরিক্ত ভাড়া গুণতে হচ্ছে যাত্রীদের।এদিকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য সকাল থেকেই ভোলার বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল বাসটার্মিনালে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও নৌবাহিনীর টহল মোতায়েন রয়েছেউল্লেখ, গত ৪ এপ্রিল রোববার বিকেল ৪টায় ভোলার উপশহর বাংলাবাজারে বাস শ্রমিক ও সিএনজি অটোরিকশা চালকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এরপর ওইদিন সন্ধ্যায় অনির্দিষ্ট কালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দেন বাস শ্রমিকরা।এসআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর