কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে বেলা তিনটায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা গতকাল শনিবার ছিল ৩৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বলে জানিয়েছেন কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার।তিন দিন ধরে মৃদু ও মাঝারি তাপদাহে জনজীবনে এক দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে প্রখর রোদ ও ভ্যাপসা গরমের সাধারণ মানুষের পাশাপাশি খেটে খাওয়া মানুষজন এক চরম অস্বস্তিতে পড়েছেন। ধান কাঁটা ও মাড়াইয়ের সময় দেখা গেছে, ওই সব খেটে খাওয়া কৃষিশ্রমিকের মাথার ওপরে বিরাজ করছে প্রখর রোদ এবং ভ্যাপসা গরমে কৃষিশ্রমিকদের গা থেকে ঝরছে ঘামজড়া পানি। এরপরেও তাদের নেই কোন ক্লান্তি। কৃষিশ্রমিকরা প্রখর রোদ ও ভ্যাপসা গরমে অবিরাম চলছে ধান কাঁটা ও ধান মাড়াইসহ ঘরে তোলার লড়াইয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।রবিবার দুপুর থেকে বিকাল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত উপজেলার শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের উত্তর শিমুলবাড়ী ও চর সোনাইকাজী গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, ছয় থেকে সাতজন কৃষক ও কৃষিশ্রমিক ধান কাটছেন। কেউ আবার ধান মাড়াই করছেন।কৃষকেরা জানালেন, যে পরিমান রোদ ও গরম তাতে ঘর থেকে বের হওয়া যায় না। তার ওপর খোলা মাঠে ধান কাটা অনেক কষ্টের। দলবেঁধে মাঠে ধান কাটা ও ধান ঘরে তোলার আনন্দে অনেক সময় মনে হয় না এতো রোদ গরম। চরসোনাইকাজী গ্রামের কৃষক মুসা মিয়া বলেন, আমার দেড় বিঘা জমিতে ধান কাঁটা ও মাড়াইয়ের কাজ করছি। প্রখর রোদ হলেও এখন আবহাওয়া ভালো। তাই তাড়াতাড়ি কেটে নিচ্ছি। ধান ক্ষেতের সাথেই রোদ থেকে বাঁচার জন্য ছাতা টাঙ্গিয়ে দিয়েছি। রোদ ও ভ্যাপসা গরম থাকলেও আমরা ধান ঘরে তোলার আনন্দে মাঠে কাজ করে যাচ্ছি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছা: নিলুফা ইয়াছমিন জানান, উপজেলা জুড়ে ১০ হাজার ২০৫ জমিতে বোরো ধানের চাষাবাদ হয়েছে। সব ধানে প্রায় পেকে গেছে। কৃষিশ্রমিকসহ উপজেলায় ১৪টি কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন দিয়েও ধান কাটা চলছে। যেহেতু ধান কাঁটা ও মাড়াইয়ের জন্য সুন্দর আবহাওয়া তাই দ্রুত ধান কর্তনে কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এ পর্যন্ত ১ হাজার হেক্টর জমির ধান কর্তন হয়েছে।এসআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর