অতিরিক্ত সরবরাহের উদ্বেগ ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধের ফলে চাহিদা দুর্বল হতে পারে এমন আশঙ্কা সত্ত্বেও ওপেক-প্লাস তেলের উৎপাদন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম আরও কমেছে।সৌদি আরব, রাশিয়াসহ আরও ছয়টি দেশ জুন মাসে দৈনিক চার লাখ ১১ হাজার ব্যারেল তেলের উৎপাদন বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছে, এক মাস আগে একই ধরনের পদক্ষেপের ফলে দাম কমে গিয়েছিল।ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের ফলে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কায় অপরিশোধিত তেলের দামও কমছে।২০২২ সালের পর থেকে তেলের উৎপাদন অব্যাহতভাবে কমিয়ে আসছিল ওপেক প্লাস। যদিও এখন সেই অবস্থান থেকে সরে এসেছে সংস্থাটি। সোমবার (৫ মে) বিশ্ববাজারে প্রতি ব্যারেল ব্রেন্ট ৬০ ডলারের নিচে লেনদেন হয়েছে। কিছু বিশ্লেষক অপ্রত্যাশিত পদক্ষেপের সম্ভাব্য কারণ হিসেবে ট্রাম্পের দাম কমানোর চাপ ও কঠোর নিষেধাজ্ঞার মধ্যে ইরানি তেল রপ্তানি কমার দিকে ইঙ্গিত করেন।সুইসকোট ব্যাংকের সিনিয়র বিশ্লেষক ইপেক ওজকারদেস্কায়া বলেন, ওপেক প্লাসের পদক্ষেপটি খুব একটা চমকপ্রদ নয়, তবে এই পদক্ষেপের পেছনের কারণগুলো এখনো বোঝা যাচ্ছে না।এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ১৪৫ শতাংশ শুল্কের চাপে হিমশিম খাচ্ছে চীনের রপ্তানি খাত। এতে দেশটিতে চাকরি হারানোর ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। গোল্ডম্যান স্যাশের মতে, প্রায় ১ কোটি ৬০ লাখ চীনা কর্মী যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হওয়া পণ্যের উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত। আবার নোমুরা ব্যাংক বলছে, যদি এই ‘শক’ চলতে থাকে তাহলে স্বল্পমেয়াদে ৫৭ লাখ এবং দীর্ঘমেয়াদে ১ কোটি ৫৮ লাখ কর্মী চাকরি হারাতে পারেন।এবি
Source: সময়ের কন্ঠস্বর