ঘাম ঝরানো স্বপ্নের সোনার ফসল ঘরে তুলতে শুরু করেছেন ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার কৃষক কৃষাণী। ফসলের মাঠ জুড়ে কৃষকের ফলানো ধানের ছড়াছড়ি। বোরে ধানের চনমনে গন্ধে মাতোয়ারা কৃষক,ব্যস্ত কৃষাণী। দিগন্তজোড়া মাঠ সেজেছে সোনালী-হলুদ ধানের রঙে। ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কৃষাণী এবং তাদের পরিবারের ছোট ছেলেমেয়েরাও। ধান নিয়ে তারা মেতেছেন এক অন্যরকম আনন্দ উৎসবে। ধান মাড়াইয়ের পর কৃষাণী রোদে ধান শোকাচ্ছেন।রাত জেগে ধান সিদ্ধ করছেন। দিনে আবার সিদ্ধ ধান রোদে শোকাচ্ছেন।যেন দম ফেলার সময় নেই কৃষক-কৃষাণীর।অনুকূল আবহাওয়া, কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও মাঠ পর্যায়ের তদারকির কারণে চলতি বোরে মৌসুমে নান্দাইলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ধান উৎপাদন হবে বলে আশা কৃষি বিভাগের। উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, এবছর নান্দাইলে ১৩ টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ২২ হাজার ২৮০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ করা হয়েছে। এরমধ্যে ৫০টি রাজস্ব প্রদর্শনী রয়েছে। প্রকল্পের প্রদর্শনী রয়েছে ১৩০টি।সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, উৎসবমুখর পরিবেশে চারিদিকে বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। মাঠে মাঠে সোনার ধান দেখে হাসি ফুটছে কৃষকের মুখে।দিনরাত হাড়ভাঙা পরিশ্রম করছেন কৃষকরা।সকালে কাচি হাতে বের হয়ে ধান কাটা শেষে সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে আসেন কৃষক।কাটা ধান জমিতেই মেশিন দিয়ে মাড়াই করছেন। মনের আনন্দে কৃষাণী সেই ধান ঘরে তুলছেন।এবার বোরে ধানের ফলনের রেকর্ড ছাড়াবে বলে আশা করেন স্থানীয় কৃষি বিভাগ ও কৃষকরা।উপজেলার বীরকামট খালী, লোহিতপুর, খারুয়া,রাজাপুর, লক্ষীপুর গ্রামের চাষি মুজিবর,বাচ্চু ফাইজদ্দিন,ফজলুল হক এবং, ফারুকসহ অনেকেই জানান,এইবার বোরো ধানের বাম্পার ফলনে তারা বেজায় খুশী। কৃষক মিলন,দুলাল,রোকন বলেন,বোরো ধানের বাম্পার ফলনে আমরা খুব খুশী। উপজেলার বীরবেতাগৈর ইউনিয়নের বীরকামট খালী গ্রামের ধান কাটার শ্রমিক সেলিম, রাজ্জাক,শহীদ,শফিকুল বলেন, আমরা বোরো ধান কাটা শুরু করছি।কাঠাপ্রতি ৯শ থেকে ১১ শ টাকা দরে ধান কাটতাছি।নান্দাইল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাইমা সুলতানা বলেন,উপজেলায় পুরোদমে ধান কাটা ও মাড়াই শুরু হয়েছে। এবছর বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কারণ সময়মত সার ও বীজের পর্যাপ্ত সরবরাহ,মাঠ পর্যায়ে তদারকি, কৃষকদের বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শের কারনে লক্ষমাত্রার চেয়ে ফলন বেশি হয়েছে। এসআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর