ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পর্যটনকেন্দ্র পহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় পর্যটকসহ ২৬ জন নিহতের ঘটনায় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা অব্যাহত রয়েছে। এর মধ্যে সীমান্তে চতুর্থ রাতের মতো গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে, যদিও এতে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। ফলে দুই দেশের মধ্যে একটি যুদ্ধের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। চলমান এই উত্তেজনা নিরসনে দুই পক্ষকেই এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র।সোমবার (২৮ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে জার্মানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলে।এতে বলা হয়েছে, গতকাল রোববার (২৭ এপ্রিল) পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ইশাক দারের সঙ্গে কথা বলেছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়েং ই। পহেলগামে হামলার ঘটনায় পাকিস্তান যে স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে, তার প্রতি বেইজিংয়ের সমর্থন ব্যক্ত করেছেন তিনি।চীনা বার্তাসংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে ওয়েং পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেছেন, ‘চীন একটি দ্রুত ও স্বচ্ছ তদন্তের পক্ষে এবং বিশ্বাস করে যে, এই সংঘাত পাকিস্তান ও ভারত কারো মৌলিক স্বার্থের প্রতিনিধিত্ব করে না, তা আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্যেও উপকারী নয়।’দুই পক্ষই সংযম প্রদর্শন করবে এবং উত্তেজনা নিরসনে এগিয়ে আসবে, এমনটা প্রত্যাশা করেন তিনি।পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন জানিয়েছে, ‘ভারতের মিথ্যা দাবি, ভিত্তিহীন প্রচারণা এবং একতরফা পদক্ষেপ’ নিয়ে তারা কথা বলেছেন।চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়েং যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড লামির সঙ্গেও আলাপ করেছেন।এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর রোববার (২৭ এপ্রিল) জানিয়েছে, তারা ভারত ও পাকিস্তান উভয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে। দুই দেশই যাতে একটি ‘দায়িত্বশীল সমাধান’ নিয়ে কাজ করে সেটি চায় যুক্তরাষ্ট্র।বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র জানিয়েছেন, তারা দুই দেশের মধ্যকার পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা ভারত ও পাকিস্তান সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে যোগাযোগ রেখেছি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সব পক্ষকে একটি দায়িত্বশীল সমাধানের জন্য একসঙ্গে কাজ করার উৎসাহ দিচ্ছে।’হামলার পরপর যুক্তরাষ্ট্র ভারতের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছিল। চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের প্রেক্ষিতে ভারত ও পাকিস্তান উভয়ই যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত অংশীদার।এফএস
Source: সময়ের কন্ঠস্বর