ভোলার চরফ্যাশনে বাস শ্রমিক ও সিএনজি চালকদের মধ্যে যাত্রী উঠানোকে কেন্দ্র দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনায় বাস শ্রমিকদের ডাকা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট চলছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। সোমবার (২৮ এপ্রিল) সকাল থেকে জেলার কোন রুটেই বাস ছেড়ে যেতে দেখা যায়নি। এর আগে রোববার বিকেলে ভোলার চরফ্যাশনে এ হাতাহাতির ঘটনা ঘটে৷ এরপর ওইদিন বিকেলেই বাস শ্রমিকরা অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস ধর্মঘটের ডাক দেন।সোমবার সকালে ভোলার বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল বাসটার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে, ভোলার সকল রুটে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় দূর-দূরান্ত থেকে আসা যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। বিকল্প যানবাহন হিসেবে রিকশা অটোরিকশা এবং মাইক্রোবাসে করে গন্তব্যে ফিরতে হচ্ছে তাদের। এতে করে তাদেরকে দ্বিগুণ ভাড়া গুনতে হচ্ছে। কেউ কেউ আবার যানবাহন না পেয়ে পায়ে হেঁটে গন্তব্যে যাচ্ছেন। এতে চরমক্ষোভ আর আক্ষেপ নিয়ে যাত্রীরা বলছেন, ‘কিছু দিন পরপর ভোলার বাস শ্রমিক ও সিএনজি চালকদের মধ্যে গন্ডগোল হয়। আর এতে ভোগান্তিতে পড়তে হয় সাধারণ যাত্রীদের। তারা দ্রুত এর প্রতিকার চান।এদিকে, ভোলার বাস শ্রমিকরা বলছেন, সিএনজি চালকরা তাদের সাথে যাত্রী উঠানোকে কেন্দ্র করে প্রায়ই ঝামেলা করে। তাই মহাসড়কে সিএনজি চলাচল নিষিদ্ধ করতে হবে। অন্যথায় তাদের বাস চলাচলের ধর্মঘট অনির্দিষ্টকালের জন্য চলবে বলেও তারা হুশিয়ারি দেন।ভোলা সিএনজি মালিক সমিতির সভাপতি মো. জাকির হোসেন জানান, গতকাল চরফ্যাশনে বাস ও সিএনজি শ্রমিকদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এতে তাদেরও সিএনজির শ্রমিক আহত হয়েছেন। তবে বাস শ্রমিকরা ধর্মঘটের ডাক দিলেও তাদের পক্ষ থেকে কোন কর্মসূচি দেওয়া হয়নি। এদিকে গতকাল সন্ধ্যার পর থেকে বাস শ্রমিকরা তাদের ১০ থেকে ১৫টি সিএনজি আটক করে বাস ডিপোতে রাখেন। এছাড়াও গতকাল দু’পক্ষের মধ্যে সমঝোতায় বসার কথা থাকলেও সেটি ফলশ্রুত হয়নি।এর আগে চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি বাস মালিক সমিতি ও সিএনজি মালিক সমিতির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। প্রায় ৩ দিনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর ভোলা জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের হস্তক্ষেপে তা সমঝোতায় ফিরে আসে। এখন আবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল।এসআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর