কাবিটা স্কীম প্রণয়ন,বাস্তবায়ন ও মনিটরিং কমিটি সুনামগঞ্জে বাঁধের কাজ শেষের দাবি। তা প্রত্যাখ্যান করে হাওরে বাঁধ নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম ও কাজ শেষ হয়নি বলে নানান অভিযোগ তুলে হাওর বাঁচাও আন্দেলনের সংবাদ সম্মেলন করেছে।বুধবার (১২ মার্চ) দুপুরে শহরের জগৎজ্যাতি লাইব্রেরিতে হাওর বাঁচাও আন্দোলনের আয়োজন সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন হাওর বাঁচাও আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ সভাপতি চিত্ত রঞ্জন তালুকদার।হাওর বাঁচাও আন্দোলন সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ ওবায়দুল হক মিলন এর সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনের মূল পাঠ উপস্থাপন করেন হাওর বাঁচাও আন্দোলনের সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি ইয়াকুব বখত্ বাহলুল।এ সময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদ উল্লাহ সরকার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক একে কুদরত পাশা, সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির সহ সভাপতি মুর্শেদ জামান, আলিনুর, বাধ বিষয়ক সম্পাদক রাজু আহমেদ, জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক  জিয়াউর রহমান, অর্থ সম্পাদক জিয়া উদ্দিন, সদস্য ওবায়দুল মুন্সী।সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আমরা গভীরভাবে আরও লক্ষ করছি বাঁধের প্রাক্কলন থেকে শুরু করে পিআইসি গঠন পর্যন্ত চলচাতুরীর আশ্রয় নেয় পাউবো এবং প্রশাসন যার ফলে সঠিক সময়ে পিআইসি গঠন প্রক্রিয়া শেষ হয়নি এবং কাজ শুরু করতে দেরী হয়। হাওর বাঁচাও আন্দেলন এর পক্ষ থেকে অক্টোবর নভেম্বর মাসে যে জরিপটি পরিচালনা করি তাতে দেখা যায়,অনেক বাঁধের কিলোমিটারের পর কিলোমিটার মাটি ভরাটের প্রয়োজন নেই। কিন্তু প্রাক্কলনের সময় অক্ষত বাঁধেতে ক্ষতিগ্রস্থ দেখিয়ে সরকারের টাকা নয়-ছয়ের কাজ সেখান থেকে শুরু হয়। হাওরে অনেক বাঁধ রয়েছে যেখানে মাটি ভরাট না করে শুধু দুর্বাঘাস পরিস্কার করে মাটির প্রলেপ দেওয়া হয়েছে।চলতি বোরো মৌসুমে ফসলের সুরক্ষায় হাওরে ৫৮৭ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণের জন্য ১২৭ কোটি টাকা বরাদ্দে ৬৮৬টি প্রকল্পের অনুমোদন করে নীতিমালা অনুযায়ী অর্থবছরের ১৫ ডিসেম্বর বাঁধের কাজ শুরু ও ২৮ ফেব্রুয়ারি কাজ শেষ করার কথা। নির্ধারিত ১৫ ডিসেম্বর নিয়ম রক্ষার্থে কয়েকটি বাঁধে লোক-দেখানো কাজ উদ্বোধন করা হয়েছিল। আর সর্বশেষ মার্চ মাস পর্যন্ত নিয়মরক্ষার বাঁধের কাজ করা হয়েছে ফলে আগাম বন্যা আসলে প্রথমেই সে বাঁধগুলো ভেঙ্গে যাবে।গত ৯ মার্চ জেলা প্রশাসন ও ডিসি সুনামগঞ্জ ফেসবুক ওয়ালে জানানো হয় যেহেতু সুনামগঞ্জ জেলায় কাবিটা বাঁধের কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং এ পর্যায়ে বাঁধের কাজে কোথাও কোন ত্রুটি থাকলে বিস্তারিতসহ পিআইসির নম্বর ও স্থান উল্লেখ করে ইউএনও কে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। কাজ শেষ হয়েছে দাবি করলে আমরা তা প্রত্যাখ্যান করি। আমাদের হিসেবে ১০ মার্চ পর্যন্ত ৭৫-৮০ ভাগ কাজ হয়েছে। ১০ মার্চ আমাদের বিভিন্ন উপজেলা কমিটির নেতৃবৃন্দকে হাওরে পাঠিয়ে আমরা দেখেছি অনেক বাঁধে মাটির কাজ হচ্ছে।এসআর

Source: সময়ের কন্ঠস্বর

সম্পর্কিত সংবাদ
মিরসরাইয়ে ৯ কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষার্থী ৬ হাজার ৩’শ ৯৯
মিরসরাইয়ে ৯ কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষার্থী ৬ হাজার ৩’শ ৯৯

সারাদেশে আগামীকাল ১০ এপ্রিল শুরু হতে যাচ্ছে এসএসসি ও দাখিল সমমানের পরীক্ষা ২০২৫। এবারে চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলায় এসএসসি, দাখিল ও Read more

গোয়ালন্দে ঝুঁকিপূর্ণ খেয়া নৌকায় হাজার হাজার মানুষের পারাপার
গোয়ালন্দে ঝুঁকিপূর্ণ খেয়া নৌকায় হাজার হাজার মানুষের পারাপার

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে শাখা পদ্মা নদীর ওপর সেতু নির্মাণ না হওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ খেয়া নৌকায় পারাপারে চরম দুর্ভোগে পড়ছেন হাজার-হাজার মানুষ। দীর্ঘদিন Read more

আমরা নিরপেক্ষ নই ,    জনতার পক্ষে - অন্যায়ের বিপক্ষে ।    গণমাধ্যমের এ সংগ্রামে -    প্রকাশ্যে বলি ও লিখি ।   

NewsClub.in আমাদের ভারতীয় সহযোগী মাধ্যমটি দেখুন