পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে ভুল্লী নদীর ওপর চলমান সেতু নির্মাণ প্রকল্পে অস্থায়ী বেইলী ব্রিজ না থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এ পরিস্থিতিতে দ্রুত বেইলী ব্রিজ স্থাপনের দাবিতে বৃহস্পতিবার (২২ মে) দুপুর ২টায় নদীর তীরে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। অন্তত দুই শতাধিক মানুষ এতে অংশ নেন।মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, পুরনো লোহার সেতু ভেঙে ফেলার পর নতুন সেতু নির্মাণ শুরু হলেও অস্থায়ী বেইলী ব্রিজ না করায় স্থানীয়দের যাতায়াত কঠিন হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে কৃষকরা তাঁদের উৎপাদিত ভুট্টা ও বাদাম পরিবহনে চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন। ফলে বাইরের পাইকাররাও পণ্য সংগ্রহে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।তারা আরও জানান, পামুলী ও দেবীডুবা ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ সড়কটি এই স্থানে নদী পার হয়ে গেছে। এখন এই রাস্তা ব্যবহার করে পণ্য পরিবহনের সময় দুর্ঘটনার ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। এছাড়া ভ্যানে পণ্য আনার সময় উল্টে যাওয়ার ঘটনাও ঘটছে প্রায়ই।বক্তারা অভিযোগ করেন, প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা ব্যয়ে সেতু নির্মাণের প্রকল্পে অস্থায়ী বেইলী ব্রিজ অন্তর্ভুক্ত না থাকায় জনদুর্ভোগ বাড়ছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কেবল মাটি ফেলে একটি ডাইভারশন রাস্তা তৈরি করেছে, যা বর্ষায় ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।স্থানীয়রা হুঁশিয়ারি দেন, সাতদিনের মধ্যে বেইলী ব্রিজ নির্মাণ না হলে তাঁরা অনশনসহ সেতুর কাজ বন্ধ করে দেওয়ার কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।এদিকে এলজিইডি সূত্র জানিয়েছে, বৃহত্তর দিনাজপুর জেলার গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৪ কোটি ৫৮ লাখ টাকার বেশি ব্যয়ে ৫০ মিটার দীর্ঘ একটি আরসিসি গার্ডার সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রকল্পে অস্থায়ীভাবে ৫০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ২ ফুট প্রস্থের একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণের প্রস্তাব থাকলেও বেইলী ব্রিজের কোনো বরাদ্দ নেই।ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বরেন্দ্র কন্সট্রাকশন লিমিটেডের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহিদুজ্জামান রাসেল বলেন, স্থানীয়দের কষ্ট আমরা বুঝি। তবে প্রকল্পে বেইলী ব্রিজ নির্মাণ বা ভাড়া নেওয়ার জন্য কোনো বরাদ্দ নেই। আমরা ডাইভারশন করে দিয়েছি। বর্ষার কথা মাথায় রেখে কাঠের সাঁকো তৈরির উদ্যোগ নিচ্ছি, কিন্তু স্থানীয়রা তাতে বাধা দিচ্ছেন।মানববন্ধনে অংশ নেন উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি আইয়ুব আলী, সাধারণ সম্পাদক মো. তবারক হ্যাপি, দেবীডুবা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মজনু এবং পামুলী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবুল বাশার প্রধানসহ অনেকে।এসআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর