বগুড়ার শেরপুরে সান্তনা বিশ্বাস (২৫) নামের এক নারীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। সোমবার (১৯ মে) রাত ৯টার দিকে উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের গোপালপুর পূর্বপাড়া গ্রামে তার স্বামীর বাড়ির আঙিনা থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার সকালে মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।পুলিশ বলছে, প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হলেও নিহতের পরিবার বিষয়টিকে সন্দেহের চোখে দেখছে। এব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।নিহতের স্বামী পলাশ বিশ্বাস দাবি করেন, সোমবার বিকেলে সান্তনা ঘরের কাঠের আড়ার সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। তখন বাড়িতে কেউ ছিলেন না, এমনকি বাড়ির প্রধান দরজাও ছিল বন্ধ। সান্তনার একটি দেড় বছরের শিশু সন্তান রয়েছে।নিহতের বাবা সুদেপ কুমার মালী বগুড়া সদর উপজেলার তেলিহারা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি বলেন, “তিন বছর আগে আমি আমার মেয়ের বিয়ে দেই পলাশ বিশ্বাসের সঙ্গে। বিয়ের পর থেকে ওদের সংসারে অশান্তি লেগেই ছিল। আমার মেয়েকে প্রায়শই মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করত তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এ নিয়ে সমাজে একাধিকবার সালিস হয়েছে। আমি অনেকবার মেয়েকে বুঝিয়ে শান্ত করেছি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমার মেয়ের মৃত্যু হলো। এটা আত্মহত্যা নয়, এটা পরিকল্পিত হত্যা। আমি এর সঠিক তদন্ত চাই, আমি ন্যায় বিচার চাই।”অন্যদিকে, পলাশ বিশ্বাস বলেন,“আমি বা আমার পরিবারের কেউ কখনো সান্তনাকে নির্যাতন করিনি। সংসার জীবনে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মাঝেমধ্যে ঝগড়া হতো, কিন্তু তা খুব সাধারণ বিষয় ছিল।”এ বিষয়ে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, “ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। প্রাথমিকভাবে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।”এআই
Source: সময়ের কন্ঠস্বর