গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর থেকে শ্রীপুর, প্রায় ৮ কিলোমিটার আঞ্চলিক সড়কে প্রতিদিন চলাচল করে হাজারো যানবাহন,যাত্রী ও পথচারীরা।তীব্র দাবদাহের পর অল্প সময়ের বৃষ্টির পানি দুর্ভোগ বাড়িয়েছে সড়কটি ব্যবহার করা জনজীবনে।কয়েকদিন আগেও বৃষ্টির জন্য হাহাকার করা সারাদেশের ন্যায় গাজীপুরের কাশিমপুরের মানুষজনও করেছেন বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা। মহান প্রতিপালকের নেয়ামত কাঙ্খিত অল্প বৃষ্টিতেই শীতল হয় জনজীবন। আর সেই অল্প বৃষ্টির কারণেই এবার কাশিমপুরের ৩নং ওয়ার্ডের বারেন্ডাসহ আশ-পাশের এলাকার মানুষজন পরেছেন চরম ভোগান্তিতে।প্রায় প্রতিবছরই বর্ষার সারা সময়টাতেই কাশিমপুর-শ্রীপুর আঞ্চলিক সড়কের ৩নং ওয়ার্ডের বারেন্ডায় ডিবিএল মিনি ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনের সামনের প্রায় ৩০০ মিটার সড়ক পানিতে তলিয়ে থাকে। তলিয়ে থাকা সড়কের দুই পাশের মিনি ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশন ছাড়াও রয়েছে ডায়াগনস্টিক সেন্টারসহ অসংখ্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও আবাসিক বাড়িঘর।পানিতে তলিয়ে থাকায় সড়কের এই অংশের এক পাশের ফুটপাত পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।ফলে আশপাশের বেশ কয়েকটি বড় বড় শিল্প কারখানার শ্রমিকসহ স্থানীয় পথচারীরা। সড়কের অপর পাশের সরু ড্রেনের প্লাবের উপর দিয়ে চলাচল করেন গায়ের সাথে গা লাগিয়ে।সরু এই পথে যাতায়াতকালে প্রায়শই একে অপরের ধাক্কা লেগে সড়কের ময়লা পানিতে পরে যাওয়ার উপক্রম হয়।এছাড়াও, মিনি ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনের স্বাভাবিক কাজ ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সেবা নিতে আসা সেবাগ্রহীতাদের দুর্ভোগ তো একটু বেশিই। সড়কটি ব্যবহার করা হাজার হাজার যানবাহনের যাত্রীদের সড়কের এই অবস্থা দেখে মাঝেমধ্যেই ক্ষোভ ঝারতে দেখা যায়। নিয়মিত সড়কটি ব্যবহার করা শফিকুল ইসলাম নামের একজন মোটরবাইক চালক বলেন, এমনিতেই সম্পূর্ণ সড়কের মাঝের অংশে কোন কার্পেটিং না থাকায় ইট ও ইটের সুরকির জন্য প্রায়শই দূর্ঘটনা ঘটতে দেখা যায়।এর মধ্যে বারেন্ডার এই অংশ পানিতে তলিয়ে গেলে বিপদ আরও বেড়ে যায়।’সড়কের এ অংশে পানি জমার কারণ ও প্রতিকার কি?এমন প্রশ্ন করলে স্থানীয় জাহিদ মিয়া নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘আশপাশের দোকানপাটের ময়লা,পলিথিন এবং আশপাশের চাইতে সড়কের এই অংশটুকু নিচু থাকা এভাবে পানি জমার মূল কারণ। সমস্যাটি নিয়ে বেশ কয়েকবার কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও এই দুর্ভোগ লাঘবে কোন উদ্যোগ নেওয়া হয় না।মুদি দোকানদার খালেক ও খাবার হোটেল ব্যবসায়ী আলমগীর একই সুরে বলেন, পানি জমে থাকায় দোকান ও হোটেল খুলে বসলে বড় বড় গাড়িগুলো দ্রুত সড়কে চলার সময় ময়লা পানি ছিটে এসে দোকান ও হোটেলের পন্য ও খাবার নষ্ট করে দেয়।এমন পরিস্থিতিতে দোকান ও হোটেলে ক্রেতা আসতে চায় না।পথচারীরা হাটার সময়ও যানবাহনের চাপে ছিটে আসা পানিতে জামা-কাপড় নষ্ট হয় প্রায় প্রতিদিনই।রাস্তাটির এমন অবস্থা ও এই সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে তথ্য চেয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের অঞ্চল-৮ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ হাসান খান বলেন,আঞ্চলিক সড়কের যেখানে যেখানে এরকম অবস্থা রয়েছে।সেগুলোর তালিকা তৈরি করা হয়েছে।খুব শীঘ্রই এগুলো টেন্ডারের কার্যক্রমের মাধ্যমে কাজগুলো শুরু করা হবে।এসআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর