চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার ব্যস্ততম কলেজ সড়কের পুরনো কালভার্টটি ধসে পড়ায় কয়েক দিন ধরে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে এলাকাবাসীকে। অবশেষে স্থানীয় প্রশাসনের জরুরি উদ্যোগে লোহার সিট বসিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে। আপাতত স্বস্তি ফিরলেও ঝুঁকিপূর্ণ এ কালভার্টের স্থায়ী সমাধানের দাবি এখন প্রবল।জানা যায়, গত সপ্তাহের শুরুর দিকে সাতকানিয়া সরকারি কলেজের সামনে অবস্থিত পুরনো কালভার্টটির উপরের অংশ হঠাৎ ধসে পড়ে। এতে কলেজ সড়ক দিয়ে চলাচলকারী হাজারো শিক্ষার্থী, রোগী, ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ দুভোর্গে পড়েন।সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, কালভার্ট ধসে সড়কের মাঝখানে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে কয়েক দিন ধরে দুর্ভোগ পোহাতে হলেও এখন ভাঙা কালভার্টের ওপর লোহার সিট বিছানো হয়েছে। লোহার সিটের ওপর দিয়ে চলাচল করছে মোটরসাইকেল, সিএনজিচালিত ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা এবং অন্যান্য যানবাহন।সাতকানিয়া সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী সায়েদ হোসেন মানিক বলেন, “প্রতিদিন আতঙ্ক নিয়ে যাতায়াত করতাম। কালভার্ট ভাঙার পর তো একেবারেই রাস্তা বন্ধ হয়ে গেল। এখন লোহার সিট বসানোয় চলাচল সহজ হয়েছে। তবে টেকসই সমাধান দরকার।”স্থানীয় বাসিন্দা মো. হারুনুর রশীদ বলেন, “আমরা প্রতিদিন বাজার, স্কুল, হাসপাতাল—সব জায়গায় এই সড়ক ব্যবহার করি। কালভার্ট ভাঙার পর চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। আপাতত মেরামতে স্বস্তি পেয়েছি, কিন্তু স্থায়ীভাবে নতুন কালভার্ট চাই।”সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিলটন বিশ্বাস বলেন, সড়কটির গুরুত্ব বিবেচনায় দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে কালভার্টের ওপর লোহার সিট বসানো হয়েছে। আমরা চেয়েছি, যান চলাচল একদিনও যেন বন্ধ না থাকে। পাশাপাশি স্থায়ীভাবে নতুন কালভার্ট নির্মাণের উদ্যোগ নিচ্ছি।এদিকে, সাতকানিয়া সরকারি কলেজ, আশপাশের অন্তত কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, উপজেলা সদর এই সড়কের মাধ্যমে যুক্ত। তাই এলাকাবাসী বলছে, সাময়িক সংস্কারে ভরসা নয়, দ্রুত টেকসই অবকাঠামো চাই। আপাতত লোহার সিটের ওপর দিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক হলেও, সাতকানিয়াবাসীর প্রকৃত স্বস্তি মিলবে নতুন ও টেকসই কালভার্ট নির্মিত হলে। প্রশাসনের দায়িত্বশীল পদক্ষেপই পারে দীর্ঘদিনের এ জনদুর্ভোগের অবসান ঘটাতে।এসআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর