পিলখানা বিদ্রোহের ঘটনায় বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় কারাগারে আটক আরও ৪০ বিডিআর জওয়ান জামিন পেয়েছেন।ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক ইব্রাহিম মিয়ার আদালত গত ৮ মে এ আদেশ দেন বলে সোমবার (১২ মে) আদালত সূত্রে জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী শাহাদাৎ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।এই জামিনপ্রাপ্তদের মধ্যে বেশ কয়েকজন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিও রয়েছেন বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর মো. বোরহান উদ্দিন। জামিন পাওয়া আসামিরা হলো- রেজাউল করিম, শাজাহান, রফিকুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম,  রেজাউল করিম, মো. শামীম, ওয়ালি উল্লাহ, হাবিবুর রহমান, তারিকুল ইসলাম, বনি আমিন চৌধুরী, মো. এ বারিক, ইমতিয়াজ আহমেদ নবীন, মোয়াজ্জেম হোসেন, মিজানুর রহমান, সিদ্দিকুর জামান জোয়ার্দার ওরফে লিটন, মো. এ মোনাফ, আকিদুল ইসলাম, খলিলুর রহমান, মিজানুর রহমান, কৌতুক কুমার সরকার, মো. সালাউদ্দিন, সোহরাব হোসেন, কামাল হোসেন, মো. ইশহাক, দারুল ইসলাম, শ্রী সুমন চক্রবর্তী, আবু সাঈদ, সেজান মাহমুদ, মো. সেলিম, বিধান কুমার সাহা, মাসুম হাসান, ফিরোজ মিয়া, শ্রী তাপস কুমার বিশ্বাস, রফিকুল ইসলাম, কামাল মিয়া, নূর-এ-আলম মিয়া, এনামুল হক, শফিকুল ইসলাম, রবিউল আলম এবং আল আমিন।এর আগে গত ১৯ জানুয়ারি ১৭৮ জন জন বিডিআর সদস্যকে জামিন দেন একই আদালত। পরে গত ২৩ জানুয়ারি ঢাকার কেরানীগঞ্জ ও কাশিমপুর কারাগার থেকে কারামুক্ত হন তারা। মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদর দপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। সে ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়। হত্যা মামলায় ৮৫০ জনের বিচার শেষ হয় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর। তাতে ১৫২ জনের ফাঁসি, ১৬০ জনের যাবজ্জীবন ও ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। খালাস পান ২৭৮ জন। ২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর সেই মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের রায়ও হয়ে যায় হাইকোর্টে। তাতে ১৩৯ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়। যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয় ১৮৫ জনকে। আরো ২২৮ জনকে দেওয়া হয় বিভিন্ন মেয়াদে সাজা। খালাস পান ২৮৩ জন। হাইকোর্টের রায়ের আগে ১৫ জনসহ সব মিলিয়ে ৫৪ জন আসামি মারা গেছেন। হত্যা মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে ২২৬ জন আসামি আপিল ও লিভ টু আপিল করেছেন।অন্যদিকে, হাইকোর্টে ৮৩ জন আসামির খালাস এবং সাজা কমানোর রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। এসব আপিল ও লিভ টু আপিল এখন শুনানির অপেক্ষায়। ২০১০ সালে বিস্ফোরক আইনের মামলায় ৮৩৪ আসামির বিরুদ্ধে বিচারকাজও শুরু হয়েছিল। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনার তদন্ত পুনরায় শুরুর দাবি উঠছে। গত ১৯ ডিসেম্বর অভিযোগ নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যান শহীদ পরিবারের সদস্যরা।এই হত্যাকাণ্ড পুনঃতদন্তের জন্য গত ২৪ ডিসেম্বর অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আ ল ম ফজলুর রহমানকে প্রধান করে কমিশন গঠন করে ৯০ দিনের সময় বেধে দিয়েছে সরকার।এমআর-২

Source: সময়ের কন্ঠস্বর

সম্পর্কিত সংবাদ
বরিশাল সাংবাদিক ফোরামের নতুন কমিটি গঠন
বরিশাল সাংবাদিক ফোরামের নতুন কমিটি গঠন

পেশাজীবী সাংবাদিকদের সংগঠন বরিশাল সাংবাদিক ফোরাম (বিএসএফ) এর সাধারণ সভা শনিবার (২১ জুন) দুপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছে।সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয়ে দ্বিতীয় অধিবেশনে Read more

চাঁদপুরে দীপু মনির বিরুদ্ধে আরও এক মামলা
চাঁদপুরে দীপু মনির বিরুদ্ধে আরও এক মামলা

আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী ডা. দীপু মনির বিরুদ্ধে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় আরও একটি মামলা করা হয়েছে। এই মামলায় ২২৪ Read more

অভিনেত্রী হিমুর আত্মহত্যা: প্রতিবেদন দাখিল পেছালো
অভিনেত্রী হিমুর আত্মহত্যা: প্রতিবেদন দাখিল পেছালো

ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী হুমায়রা হিমুর মৃত্যুর ঘটনায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়ে আগামী Read more

মির্জাপুরে পাঁচটি বাংলা ড্রেজার মেশিনসহ পাইপ ধ্বংস
মির্জাপুরে পাঁচটি বাংলা ড্রেজার মেশিনসহ পাইপ ধ্বংস

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে পাঁচটি অবৈধ বাংলা ড্রেজার মেশিনসহ ১ হাজার ফুট পাইপ ধ্বংস করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ জুন) Read more

আমরা নিরপেক্ষ নই ,    জনতার পক্ষে - অন্যায়ের বিপক্ষে ।    গণমাধ্যমের এ সংগ্রামে -    প্রকাশ্যে বলি ও লিখি ।   

NewsClub.in আমাদের ভারতীয় সহযোগী মাধ্যমটি দেখুন