জুলাই আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের উপর নির্যাতন ও গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিষিদ্ধ করার খবরে আনন্দ মিছিল করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা।শনিবার (১০ মে) রাত ১১ টায় সরকারের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেওয়ার পরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়ামোড় থেকে আনন্দ মিছিল বের করে তারা। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মেইন গেটে যেয়ে সমাবেশে মিলিত হয়। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন সমন্বয়ক এস এম সুইট, সহ-সমন্বয়ক গোলাম রাব্বানী, ইয়াশিরুল কবীর, সাজ্জাতুল্লাহ শেখ, নাহিদ হাসান, শাখা ছাত্রশিবির সভাপতি মাহমুদুল হাসান, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি ইসমাইল হোসেন রাহাত, খেলাফত ছাত্র মজলিশের সভাপতি সাদেক আহমেদ,ছাড়াও কয়েকশো শিক্ষার্থী। মিছিলে শিক্ষার্থীরা নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবার; খুনি লীগের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট একশান; এই মুহূর্তে খবর এল, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হলো; যমুনা থেকে খবর এল, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হলো; আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ; ইনকিলাব জিন্দাবাদ; দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা; লীগ ধর, জেলে ভর ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি ইসমাইল হোসেন রাহাত বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের পরেই আমাদের দাবি ছিল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা। দীর্ঘ একটি সময় পেরিয়ে গেলেও অবশেষে আমাদের সেই দাবি পূরণ হয়েছে। এখন বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে দ্রুত আওয়ামী লীগকে সর্বোতভাবে নিষিদ্ধ কর‍তে হবে। শহীদ আবু সাইদ, মুগ্ধ, ওয়াসিম, ওসামার এই বাংলায় আমরা আর কোন কালো হাত সহ্য করবো না। দ্রুততম সময়ের মধ্যে আমাদের ভাইদের রক্তের বদলা এই ইন্টেরিমকে নিতে হবে। শিবির সভাপতি মাহমুদুল হাসান বলেন, এই আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা আসার পরেই ভারতের তাবেদারি করার জন্য আমার সেনাবাহিনীর ভাইদের হত্যা করেছিল। বিশ্বের বুকে মাথা উচু করে দাড় করাতে চাওয়া নেতৃবৃন্দকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসি দিয়ে হত্যা করেছে। তারা বিভিন্ন সময় আমাদের দেশের মানুষকে গুম করেছে, খুন করেছে। শাপলা চত্বরে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে আমার ভাইদের হত্যা করেছে। যারা ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে কথা বলেছে, আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে কথা বলেছে তাদের কখনোই সহ্য করতে পারেনি। আওয়ামী সন্ত্রাসীদের বিচার হওয়ার আগ পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরে যাব না।ইবি সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের ৯ মাস পরে আরেকটা বিষয় প্রতীয়মান হয়েছে যে বাংলাদেশের মানুষ যা বলবে সরকার তা করতে বাধ্য। বাংলাদেশের মানুষ ঠিক করবে আগামী বাংলাদেশের কোন পথে যাবে। বাংলাদেশের ছাত্রজনতা সে ম্যানডেট দিবে সেই পথেই আগামী বাংলাদেশ চলতে বাধ্য। আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধের দাবিতে যারা আন্দোলনে ছিলেন না তাদের বলতে চাই, রাজনৈতিক ভাবে মানুষ ভুল করে, আমরা তা ভুলে যেতে চাই। আগামীতেও আপনারা যদি ভুল করেন, আওয়ামী লীগের যে অবস্থা হয়েছিল আপনাদেরও সেই অবস্থা হবে। জুলাইয়ের ঘোষণাপত্র পাওয়ার আগ পর্যন্ত বিপ্লবীদের জীবন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবে। ঘোষণাপত্র দিতে ৩১ কার্যদিবস হলেও আমরা আন্দোলনে নেমে পড়ব৷এফএস

Source: সময়ের কন্ঠস্বর

সম্পর্কিত সংবাদ
বিরামপুরে দুই শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টা, গ্রেপ্তার ১
বিরামপুরে দুই শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টা, গ্রেপ্তার ১

দিনাজপুরের বিরামপুরে টিভি দেখার প্রলোভন দেখিয়ে সাত বছরের দুই শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশি মমিনুর ইসলাম (৫৪) নামে একজনের Read more

ওয়াকফ সংশোধনী আইন প্রত্যাহারের দাবিতে ফের উত্তপ্ত পশ্চিমবঙ্গ
ওয়াকফ সংশোধনী আইন প্রত্যাহারের দাবিতে ফের উত্তপ্ত পশ্চিমবঙ্গ

ওয়াকফ সংশোধনী আইন প্রত্যাহারের দাবিতে উত্তপ্ত ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বেশকিছু জেলা। এবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার আমতলা Read more

আছিয়া হত্যার বিচারের দাবিতে সাতক্ষীরায় জামায়াতের মহিলা বিভাগের মানববন্ধন
আছিয়া হত্যার বিচারের দাবিতে সাতক্ষীরায় জামায়াতের মহিলা বিভাগের মানববন্ধন

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশু আছিয়ার মৃত্যুতে বিচার দাবিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সাতক্ষীরা জেলা মহিলা বিভাগের উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৭ Read more

আমরা নিরপেক্ষ নই ,    জনতার পক্ষে - অন্যায়ের বিপক্ষে ।    গণমাধ্যমের এ সংগ্রামে -    প্রকাশ্যে বলি ও লিখি ।   

NewsClub.in আমাদের ভারতীয় সহযোগী মাধ্যমটি দেখুন