মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় গোলাগুলি, ককটেল বিস্ফোরণ, বসতঘর ভাঙচুর এবং মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) রাতে গজারিয়ার ইমামপুর ইউনিয়নের হোগলাকান্দি গ্রামের আমিরুল ইসলাম মেম্বারের বাড়িতে লালু-সৈকত গ্রুপের ২০/২৫ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল হামলা চালায়। তারা গুলি ছোড়ে, ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়, এবং কয়েকটি বসতঘর ভাঙচুর করে। হামলাকারীরা দুটি মোটরসাইকেলেও অগ্নিসংযোগ করে পুড়িয়ে দেয়। এর আগে একাধিকবার এদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল।ঘটনাটি নিয়ে আমিরুল ইসলাম মেম্বার জানান, লালু-সৈকত গ্রুপের লোকজন প্রথমে তার কাছে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। তিনি ৪০ হাজার টাকা তাদের হাতে দেন, তবে তারা জানিয়ে দেয়, রাতের মধ্যে বাকি ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা দিতে হবে, নতুবা জানে মেরে ফেলবে। এরপর রাতে সাড়ে এগারোটায় লালু এবং সৈকতের নেতৃত্বে ২০-২৫ জন সন্ত্রাসী অতর্কিতভাবে তাদের উপর গুলি বর্ষণ করতে থাকে। এতে আতঙ্কিত হয়ে আমিরুলের লোকজন দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করে। হামলাকারীরা এসময় ৪-৫টি বসতঘরে ভাঙচুর চালায় এবং দুটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করে পুড়িয়ে দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। হামলা ও গোলাগুলির বিষয়ে লালুর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।গজারিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে গুলির খোসা এবং পটকা উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় আমিরুল ইসলাম মেম্বার বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন।এসকে/আরআই
Source: সময়ের কন্ঠস্বর