কৃষকদের কাছ থেকে বাড়তি দামে ধান কেনা হচ্ছে, যা অতীতে কেউ করেনি। এছাড়াও খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে কোনও ধরনের শঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন খাদ্য ও ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ১১ টায় সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার সিএসডি খাদ্য গুদাম পরিদর্শন,খাদ্য গুদামে খাদ্যের আদ্রতা নির্ণয়, দেখার হাওরে বোরো ধানের ফলন সরেজমিন পরিদর্শন ও কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি কথা গুলো বলেন।এসময় তিনি আরও বলেন, সরকারের কাছে যথেষ্ট খাদ্যশস্য মজুত রয়েছে। খাদ্য সংরক্ষণের জন্য পর্যাপ্ত সংরক্ষণ ব্যবস্থা চালুর উদ্যোগ নেওয়া হবে। ধান সংগ্রহে কৃষকদের কাছে কোন সিন্ডিকেট যাতে কাজ না করে সে ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।তিনি আরও বলেন, এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে আর সবকিছু ঠিক থাকলে খাদ্য উদ্বৃত্ত হবে। আর কৃষক যেন ফসলের ন্যায্যমূল্য পায়,তা নিশ্চিত করতে নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, কৃষকরা দেশ উন্নয়নের প্রথম সারির সৈনিক,মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ফসল ফলিয়ে আমাদের বিপুল জনগোষ্ঠীর খাদ্য জোগান দেয়। তারা ভালো থাকলে দেশ ভালো থাকবে। তিনি এ সময় হাওরের ধান সংগ্রহের সমস্যা, ধান শুকানোর জন্য পর্যাপ্ত খলার সমাস্যা,ফসল সংরক্ষণ ও এ গুলোর ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করছে বলেও উপস্থিত সবাইকে আশ্বস্ত করেন। এ সময় হাওরে সরাসরি কৃষিকাজের সঙ্গে জড়িত কৃষক সমস্যার কথা শোনেন। মতবিনিময় সভায় সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক ড ইলিয়াস মিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তাপস রঞ্জন ঘোষ, শান্তিগঞ্জের ইউএনও সুকান্ত শাহা, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক হুমায়ুন কবির সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য চলতি মৌসুমে জেলার ১২ উপজেলায় প্রায় ১০ লাখ কৃষক ১৩৭টি হাওরে দুই লাখ ২৩ হাজার ৪১০ হেক্টর জমিতে বোর ধান চাষ করেছেন। যেখান থেকে ধান উৎপাদন হয়েছে দুই লাখ ২৩ হাজার ৪১০ মেট্রিক টন। আর চাল উৎপাদন হবে ৯ লাখ ২৪ হাজার ৪১৩ মেট্রিক টন,যার বাজার মূল্য প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা। তবে সরকার এ বছর এই জেলা থেকে ধান সংগ্রহ করবে ১৪ হাজার ৬৪৫ মেট্রিক টন এবং সিদ্ধ চাল সংগ্রহ করবে ১৩ হাজার ৮১৬ মেট্রিক টন। এসআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর