বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দায়ের করা মামলায় আসামিদের গ্রেপ্তারের আগে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেওয়ার যে নির্দেশনা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে জারি করা হয়েছিল, তার কার্যকারিতা তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।এছাড়াও আদালত জানতে চেয়েছেন, আসামিদের গ্রেপ্তারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেওয়ার বাধ্যবাধকতা আরোপকারী এই অফিস আদেশটি কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না — এ মর্মে রুল জারি করেছেন আদালত।আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। প্রসঙ্গত, ৯ এপ্রিল জারি করা ডিএমপি’র এক অফিস আদেশে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসংক্রান্ত মামলাগুলোর অধিকাংশে এজাহারনামীয় আসামির সংখ্যা অনেক। এসব মামলায় তদন্তে পাওয়া বা এজাহারভুক্ত আসামিদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে যথাযথ প্রমাণসহ (যেমন ভিকটিম বা প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনা, ভিডিও বা অডিও ফুটেজ, স্থিরচিত্র, কললিস্ট ইত্যাদি) ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি গ্রহণ বাধ্যতামূলক। অনুমতি ছাড়া কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার না করার নির্দেশও দেওয়া হয় আদেশে।আদালতের এ আদেশে ডিএমপি কমিশনারের স্বাক্ষরিত উক্ত নির্দেশনা আপাতত কার্যকর থাকছে না। স্থগিতাদেশের ফলে আদেশটির কার্যকারিতা আগামী তিন মাসের জন্য স্থবির থাকবে।
Source: সময়ের কন্ঠস্বর