উখিয়ার বালুখালী এলাকায় রুহুল আমিন নামে এক প্রতিবন্ধিকে মাদক দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে। এমন অভিযোগে উখিয়া প্রেসক্লাবের হলরুমে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার।এ সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবন্ধি রুহুল আমিনের ভাই আব্দুস সালাম দাবি করেন, বালুখালী এলাকার চিহ্নিত মাদক কারবারি মাহমুদুল হক ও তার ছেলে আজিজ, ছোটন তারা পরিকল্পিত ভাবে ইয়াবা দিয়ে তার ভাইকে আটক করান। আটক এই প্রতিবন্ধীর বৃদ্ধা মা জানান, এ ঘটনা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে করানো হয়েছে। ইয়াবার গডফাদারদের স্বার্থ হাচিল করতে আমার প্রতিবন্ধী ছেলেকে দিয়া এসব কাজ করাইছে। আমার ছেলের কিছুই নেই। সে এসব ব্যবসা করতে এত টাকা কোথায় পাবে। তাকে এত টাকার মাদক দিলো কে ? আমি এই ঘটনার সুস্থ বিচার চাই। এমন কথায় এই বৃদ্ধা কান্নায় ভেংগে পড়েন। তার পরিবারে চলছে আহাজারি, তাদের শান্তনা দেবার মতো কোনো মানুষ ও নেই।জানা গেছে, গত ১৭ মার্চ মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণের অভিযানে ৪০ হাজার পিছ ইয়াবাসহ প্রতিবন্ধী রুহুল আমিন আটক হয়। আটক এই প্রতিবন্ধী ছিলেন টমটম চালক। এই প্রতিবন্ধীর নুন আনতে ফান্তা ফুরাই অবস্থা। তার এই অভাবের সুযোগ আর সরলতায় প্রতিবন্ধীর গাড়িতে মাহমুদুল হক ও তার ছেলেরা চালের বস্তায় ইয়াবা নিয়ে অন্যত্রে পাচার করার সুযোগ নেয়। কারবারিরা সেই সুযোগ কাজে লাগাতে গিয়ে নিরহ টমটম চালকের কাল হয় । সংবাদ সম্মেলনে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়ে রুহুল আমিন নির্দোষ দাবি করেন তার পরিবার।এসব ঘটনা জানাজানি হলে পরবর্তী ইয়াবার প্রকৃত মালিক মাহমুদুল হক ও তার ছেলেদের নাম না আসতে বিভিন্ন কৌশলে প্রতিবন্ধী রুহুল আমিনের পরিবারকে লোভনীয় অফার দেয়। তার পরিবার এসবের তোয়াক্কা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব ভয়ংকর তথ্য ফাঁস করেন। এ বিষয় নিয়ে অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা এসব ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, এসব এলাকার চিহ্নিত কিছু মাদকের গডফাদার আমাদের ফাঁসাতে এমন মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে।এদিকে উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আরিফ হোসেন স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয় মাদকের সাথে যাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাবে তাদেরকে ছাড় দেওয়া হবে না। নিরহ কাউকে ফাসাঁনোর সুযোগ নেই, প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে। এসআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর