খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য মুহাম্মদ মাছুদের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করছেন শিক্ষার্থীরা। এই দাবিতে সংহতি জানিয়ে কুয়েট প্রশাসনের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ।সোমবার (২১ এপ্রিল) গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের মুখপাত্র রাফিয়া রেহনুমা হৃদির পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে কুয়েট প্রশাসন অযোগ্যতার পরিচয় দিয়েছে বলে দাবি করেছেন গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ।ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে শিক্ষার্থীদের উপর নৃশংস হামলার ঘটনায় প্রশাসন নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয় এবং ব্যর্থতার দায় সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করে। সেদিন আহত হয় প্রায় দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দীর্ঘ দুই মাস শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাস থেকে জোরপূর্বক বের করে দিয়ে হল গুলো বন্ধ রাখে। এত দিনও হামলাকারীদের কোনো বিচার ও মামলা না করে উলেটা ৪২ জন শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ছিনতাই ও মারধরের অভিযোগ দিয়ে স্থানীয়দের মাধ্যমে প্রহসনমূলক মামলা দেয়া হয়। ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে পরিপূর্ণ তদন্ত ছাড়া সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। এই সকল ঘটনায় ব্যর্থতা এবং সম্পৃক্ততার দায়ে শিক্ষার্থীরা বর্তমান ভিসি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাসুদ এর পদত্যাগ/অপসারণের ১ দফা দাবি করে।এতে আরও বলা হয়, ১ দফা দাবি ঘোষণার ৫ম দিনেও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সিদ্ধান্ত না নেওয়ায় কুয়েটের শিক্ষার্থীরা ভিসির অপসারণের দাবিতে আজ ২০ এপ্রিল, ২০২৫ থেকে আমরণ অনশন শুরু করেছে। বাংলাদেশ গনতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কুয়েটের শিক্ষার্থীদের এই অনশন আন্দোলনের সাথে সংহতি জানাচ্ছে। আমরা মনে করি কুয়েটে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অযোগ্যতার পরিচয় দিয়েছে, তারা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে এবং একইসাথে শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারের অন্যায্য আদেশ দিয়ে তাদের সাথে অন্যায়ের এক নিকৃষ্ট দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। শেষাংশে তারাও কুয়েট উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি এমআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর