রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক বিশিষ্ট সংবিধান বিশেষজ্ঞ এডভোকেট হাসনাত কাইয়ূমের মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফাতেমা তুজ জোহরা আক্তারের উপস্থিতি ও বক্তব্য দেওয়া নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে।শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিকালে কিশোরগঞ্জ জেলা পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন আয়োজিত মত বিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তিনি।মত বিনিময় সভায় ফাতেমা তুজ জোহরা আক্তার বলেন, আমি কোনো দিন কোথাও মহিলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এ কথাটি বলিনি। যখন আওয়ামী লীগ নেতাদের বউদের সম্মান দেওয়ার জন্য আমাকে এ পদ দিয়েছেন। আমি কখনো আওয়ামী লীগ অফিসে যাইনি। কোনো মিটিংয়ে যাইনি।তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘে শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী হিসেবে আমি গেছি এফবিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে। আমি যেহেতু এফবিসিসিআই মেম্বার তারা যদি আমাকে সিলেক্ট করে তাহলে আমাকে যেতেই হবে। আমি মহিলা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারিকে বলেছিলাম ওই পদ থেকে বাদ দিতে। তখন তিনি বলেছিলেন দুই বছর পর মেয়াদ শেষে এমনিতেই বাদ হয়ে যাবেন।এ বিষয়ে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ূম বলেন, ফাতেমা তুজ জোহরা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কিনা আমার জানা নেই। তার পজিশন তিনি ক্লিয়ার করবেন।এ বিষয়ে গণঅধিকার পরিষদের গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ বলেন, একটা বিষয় আমরা খেয়াল করেছি অর্থের বিনিময়ে বিভিন্ন জায়গায় কেউ কেউ আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করছে। আবার কেউ কেউ নিজেদের দল ভারী করার জন্য ভোটের হিসাবে এগিয়ে থাকতে আওয়ামী লীগকে দলে বেড়াচ্ছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ ও তার দোসররা গণহত্যা চালিয়েছিলো, গণহত্যায় জড়িতদের বিচারের আগে যারা পুনর্বাসন করবে তারাই জুলাই আন্দোলনে শহীদদের রক্তের সাথে বেইমানি করবে। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রাজনীতি করতে গিয়ে যারা হামলা-মামলা, জেল-জুলুমের শিকার হয়েছেন তারাই যদি ফ্যাসিবাদের দোসরদের রক্ষা করার চেষ্টা করে তাহলে জাতির জন্য দুঃখজনক।মতবিনিময় সভায় সোহেল আহমেদের সভাপতিত্বে ও মো. জহিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে অধ্যাপক বিমল সরকার, অধ্যাপক সাখাওয়াত হোসেন ও খাইরুল মোমেন স্বপন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।এআই
Source: সময়ের কন্ঠস্বর