সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে অবৈধভাবে পরিবেশ নিষিদ্ধ লিষ্টার ও বোমা মেশিনের দ্বারা বালু উত্তোলন ও প্রকাশ্যে লুটপাট চলছে। স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ প্রতিদিন রাতের আঁধারে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীরা ফসলি জমি নষ্ট করেবেপরোয়া বালু সিন্ডিকেট হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকার বালু স্টক করছে দেদারসে, যা বর্ষা মৌসুমে বিক্রি করবে। আরো জানা যায়, সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে সু-কৈশলে স্থানীয় থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে তারা এই মহা তান্ডব চালিয়ে যাচ্ছে পরিবেশ প্রতিবেশ বিপন্ন করে ভবিষ্যতে বড়সড় ক্ষতি সাধন ও হুমকির সম্মুখীন হবে। গ্রামগুলি বুড়িডহর, লামনীগাঁও, কাঁঠালবাড়ীর (শিমুলতলা- আদর্শগ্রাম) হাজার হাজার ফসলি জমি নষ্ট করে এই বালু সিন্ডিকেটের বালু উত্তোলনের ফলে লামনীগাঁও, গ্রামের কবরস্তান, নদীরপাড়, আদর্শগ্রাম, বর্ষাকালে বিলীন হয়ে যাওয়ার বড় ধরনের আশংকায় পড়েছেন।স্থানীয় ১২০০ জন মানুষের বসবাস। এখানে রয়েছে একটি প্রাইমারি স্কুল মসজিদ,ও উপজেলার পিয়াইন নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন লুটপাট সিন্ডিকেটে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করছেন চলছেন। সরেজমিন পর্যবেক্ষণে গেলে গ্রামবাসী জানান, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমীর আজমান আলী, যুবলীগের জুয়েল আহমদ, রশিদ, তাজ আলী ছাটিবহর লায়েক মিয়া, গয়াছ মিয়া, জামাল মিয়া, আলী হোসেন, শাহান, বুড়িডহর, ইয়াকুব আলী চাতলাপাড় রুবেল মিয়া (কেচু টিলা)আব্বাস মিয়া, খালপাড়, কাঁঠালবাড়ী, গ্রামের মোহাম্মদ আলী গং, সুমন মিয়া,জীবন মেম্বার, ইকবাল হোসেন, আক্তার মিয়া।আনুমানিক ৪০টি মেশিন চলে প্রতিরাতে লিস্টার ফোর সেলেন্ডার বোমা মেশিনে ফসলি জমি বিনষ্ট এবং লীজ বহির্ভূত সরকারের কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি অবৈধভাবে চলছে। এই ঈদের পর থেকে উক্ত বালু উত্তোলন সিন্ডিকেটের মহা তাণ্ডবে অসহায় স্থানীয় বাসিন্দারা। অবৈধ বালু উত্তোলনের স্পটগুলো হচ্ছে- লামনিগাঁও,পিয়াইন নদীর উত্তর দিকে বুড়িডহর, কাঠালবাড়ী, আদর্শগ্রামের পূর্ব পশ্চিম দুই দিকে উত্তোলিত বালু ষ্টক করে রাখছেন বালু সিন্ডিকেট প্রতিটি মেশিনের গড় প্রতি ৪হাজার থেকে ৫ হাজার ফুট বালু উত্তোলন করছে। যার বাজার মূল্য প্রায় ৩ কোটি টাকা। উল্লেখ্য, গত ঈদের ৩দিন আগে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ ও উপজেলা ভূমি কমিশনার (এসিলেন্ড) আবুল হাছনাতের নেতৃত্বে অবৈধভাবে অভিযান চালিয়ে ৫টি লিষ্ঠার ভেঙ্গে দেওয়া হয়। যার ফলে বেপরোয়াভাবে বালু সিন্ডিকেট পরের দিন থেকে আবারোও বালু উত্তোলন শুরু করে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন প্রভাবশালী বালু লুটপাট সিন্ডিকেট চক্র, কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে বালু উত্তোলন করছে। তারা প্রতিটি মেশিন থেকে ৫ হাজার টাকা করে নেওয়া হয়। পুলিশের জন্য প্রায় ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা উত্তোলন হয় প্রতিরাতে।জানতে চাইলে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সহকারী ভূমি কমিশনার মোহাম্মদ আবুল হাছনাত বলেন,কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ইউএনও মহোদয়ের অনুমতিক্রমে বেশ কয়েকটি অভিযান পরিচালনা করেছি অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে একটি বিষয় প্রতিমান হয়েছে। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন কারীরা অভিযানের সময় পালিয়ে যায় তবে আমরা বেশ কয়েকটি বোমা মেশিন পুড়িয়ে দিয়েছি এবং তাদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত আছে কোন ছাড় নেই। এবিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি উজায়ের আল মাহমুদ আদনানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিগত ৪ মাস যাবত অবৈধ বালু উত্তোলন সিন্ডিকেট তারা মেশিন চালাতে পারে নাই। পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন সমন্বয়ে তিনটি অভিযানে প্রায় ২০টি বোমা মেশিনসরঞ্জামাদি সহ ধ্বংস করেছি এবং প্রতিদিন আমাদের অভিযান চলমান আজকে ও অভিযান রয়েছে। এইচএ tachments • Scanned by Gmail
Source: সময়ের কন্ঠস্বর