বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, শেখ হাসিনা নির্বাচনকে জাদুঘরে পাঠিয়েছিল। নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছিল। শনিবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে জিয়া পরিষদের আয়োজনে নাটোর জেলা পরিষদ অডিটেরিয়ামে এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।রুহুল কবির রিজভী বলেন, আমাদের নিজস্ব আত্মপরিচয়ে স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব তা শিখিয়ে গেছেন শহীদ জিয়াউর রহমান। খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যেভাবে দলকে নেতৃত্ব দিয়ে সুসংগঠিত করেছে, বিএনপি জনসম্পৃক্ত দল, জনগণের পক্ষের দল। এ দল নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র চলে না। যারাই ষড়যন্ত্র করে তারা আজ কোথায়।অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশে রিজভী বলেন, সরকারের কিছু উপদেষ্টা সংস্কার নিয়ে কথা বলছে। সংসদে বসে বসে সংস্কার করে তা সংশোধন করা হয়েছে। তাহলে কেন এত সংস্কারের কথা বলছে। আপনারা বলছেন, বিএনপি তড়িঘড়ি করে নির্বাচন চাচ্ছে। সংস্কার একটি রাজনৈতিক অঙ্গীকার। যে দল নির্বাচিত হবে, সে দল বাকি সংস্কার করবে। নির্বাচন ছাড়া দেশ আর কতদিন চলবে। আট মাস তো হয়ে গেছে, আপনারা বলেছেন ডিসেম্বরে নির্বাচন। তাহলে সংস্কার করতে আর কত সময় লাগবে আপনাদের। দেশের মানুষ ভোট দিয়ে সরকার গঠন করবে। দেশের মানুষ হাসিনার পতন দেখতে চেয়েছে, একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অবাধ সুষ্ঠু একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত করবে তা দেখতে চেয়েছে। দেড়ি হলে দেশের মানুষ হতাশায় ভুগবে।ভারতের উদ্দেশে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে যারা বিশ্বাস করে না। তারা ভাবে এ দেশ তাবেদার রাষ্ট্র থাকবে। দেশ ভারতের পক্ষে থাকবে, তারা বেছে রেখেছিল তাদের আনুগত্য কে করবে। সে কারণে একটি দুনিয়া কাঁপানো ফ্যাসিদের পতন হয়েছে। তাদের দেশে ফ্যাসিবাদ পালিয়ে গেল। এখন তারা বাংলাদেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। তারা মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে দেশ নাকি ধ্বংস হয়ে গেছে, দেশ নাকি আর নেই। বাংলাদেশে তার ক্ষমতা ছড়িয়ে রাখতে একটি রক্তময় দেশ বানিয়েছিল। ভারত তাকে টিকিয়ে রাখতে প্রশ্রয় দিয়েছিল। তারা চেয়েছিল বাংলাদেশ হাতে রাখতে। তাদের হুকুমে বাংলাদেশ চলবে এমন নীতিতে তারা ছিল। এখন তাদের মায়া কান্না, কারণ হাসিনা বলেছিল আমি ভারতে যা দিয়েছে তা সারা জীবন মনে রাখবে। সে কথা দেশের মানুষ আজ বুঝেছে। যার জন্য আজ পালিয়ে যাওয়া হাসিনাকে সব ধরনের সহযোগিতা করছে। দেশের টাকা পাচার করালো, দেশের মানুষকে খুন করলে, তার জন্য এত মায়া কান্না কেন। ফ্যাসিবাদ শেখ হাসিনা ভারতে যত দিয়েছে, তার কারণে ভারত আজ তার পাশে।রিজভী আরও বলেন, সুশীল সমাজ হচ্ছে জিয়া পরিষদ। সমাজের সকল শ্রেণি পেশার মানুষের সমন্বয়ে এ জিয়া পরিষদ। নাটোরের জিৃযা পরিষদ গ্রামে গ্রামে গিয়ে সমন্বয় করে যে কমিটি গঠন করে তা প্রমান করে।সেমিনারে নাটোর জিয়া পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শাহ্ মো. শফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় ও নাটোর জিয়া পরিষদের সভাপতি আহমুদুল হক চৌধুরি স্বপন এর সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্যে দেন- এ্যাড. এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু। এছাড়াও বক্তব্যে রাখেন- জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় নির্বাহী মহাসচিব প্রফেসর ড. মো. এমতাজ হোসেন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক কাজী গোলাম মোর্শেদ, জিয়া পরিষদের রাজশাহী বিভাগের সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল ইসলাম, রাজশাহী জিয়া পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ সালাম বিল্পব, জেলা বিএনপির আহবায়ক রহিম নেওয়াজ, সদস্য সচিব মো. আসাদুজ্জামান আসাদসহ পরিষদের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।এসআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর