নোয়াখালীর সুবর্ণচরে এলজিইডি মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দকৃত সড়ক সংস্কার না করে সম্পূর্ণ ভালো সড়ক উপড়ে ফেলার কারণে দুর্ভোগে পড়েছেন স্কুল-মাদ্রাসাগামী শত শত ছাত্র-ছাত্রী ও যানবাহনসহ হাজারো পথচারী সাধারণ মানুষ। সুবর্ণচরের ৬ নং চর আমান উল্লাহ ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডে উত্তর কাঁটা বুনিয়া গ্রামের বাবুল মার্কেট থেকে মোল্লা মার্কেট সংযোগ সড়কের এক কিলোমিটার রাস্তা এখন চলাচল অনুপযোগী। মানবসৃষ্ট এই ভোগান্তির দায় এড়াতে পারেন না সুবর্ণচর এলজিইডি’র সাব-এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার শরীফ মোহাম্মদ নুর ইসলাম।তার অদক্ষ কর্মকাণ্ডের কারণে শুধু এই একটি রাস্তা নয় এমন আরো কয়েকটি এলাকার রাস্তায় ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ। একই সমস্যা তিনি বারবারই করে যাচ্ছেন। তার এমন কর্মকাণ্ডে ফুঁসে উঠছেন সুবর্ণচরের বিভিন্ন এলাকার বিক্ষুব্ধ মানুষ। ভালো সড়ক উপড়ে ফেলে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি ও কোটি টাকা রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয়ের দায়ভার কার, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নাকি ইঞ্জিনিয়ার কে নেবে এই ঘাটতি পূরণের দায়ভার ? এমন প্রশ্নে জনমনে সৃষ্টি হয়েছে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া।যেখানে বছর বছর সরকারি অর্থ অপচয় করে অপরিকল্পিত মনগড়া নামমাত্র উন্নয়নের কারণে এ অঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। সেখানে এলজিইডি ইঞ্জিনিয়ার ও ঠিকাদারের এমন অপেশাদার কর্মকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সুবর্ণচরের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী।সুবর্ণচরের চর আমান উল্লাহ ইউনিয়নের বাসিন্দা লোকমান হোসেন জানান, এটা কোন ধরনের কর্মকাণ্ড। আমরা অনেক কষ্ট করে অনেক দৌড়ঝাঁপ করে এই রাস্তাকে পাকা করিয়েছি। এখন কোন এক ব্যক্তির খামখেয়ালিতে আমাদের সম্পূর্ণ রাস্তা নষ্ট করে দিল, এখন আমরা আসছে বর্ষায় কিভাবে পথ চলব। আমরা দ্রুত এই রাস্তা পূন:সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি সেই সাথে এমন আহাম্মক অথর্ব কর্মকর্তার অপসারণও দাবি করছি।সুবর্ণচর বাসিন্দা আরমান হোসেন বলেন, একজন সরকারি কর্মকর্তার এরকম আজগুবি কাজকর্ম কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এর আগেও তিনি চর জব্বার বর্ডার হয়ে রামগতিমুখি রাস্তার কাজ নিয়ে গেছেন ঈমানী বাজারের রাস্তায়। আসলে তিনি এই কাজের যোগ্য নয়। তার থেকে এই রাস্তা মেরামতের জরিমানা আদায় করে তাকে এখান থেকে অপসারণ করা হোক। অন্যথায় আমরা তার বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করব।এদিকে সাব-এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার শরিফ মোহাম্মদ নুর ইসলাম এই কাজের দায় স্বীকার করে বলেন, এটা আমার ভুল হয়েছে। আমি আগামী জুন মাসের মধ্যে নতুনভাবে এই রাস্তা সংস্কার করে দেওয়ার ব্যবস্থা করব।এ সকল বিষয়ে অবগত হয়েছেন স্থানীয় সাংবাদিকেরা, এক সাংবাদিক কথা বলেছিলেন সেই ইঞ্জিনিয়ারের সাথে জানতে চেয়েছেন, আপনি এক রাস্তায় দুইবার কাজ করাবেন আর অন্যান্য ভাঙ্গা রাস্তাগুলোতে মানুষ দুর্ভোগ পোহাবে, আমার নিজ বাড়ির রাস্তায় কয়েক বছর ধরে কষ্ট করে যাতায়াত করছি, এমন একটি প্রশ্নে সুবর্ণচরের ঐ সাংবাদিক তার কাছে জানতে চাইলে তিনি তাকে নিভৃত করার জন্য তার বাড়ির রাস্তা পাকা করে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে তাকে নিভৃত করার চেষ্টা করেন। অপরদিকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিকের মোবাইল ফোনে ফোন করে তাকে পাওয়া যায়নি।এ বিষয়ে নোয়াখালী এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ মাহফুজুল হোসাইন বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি এবং ওই কর্মকর্তাকে শোকজ করা হয়েছে। এ বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। এমআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর