ঝুকিপূর্ণ জরাজীর্ণ পুরাতন ভবনেই চলছে শাহজাদপুর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের কাজ। সামান্য বৃষ্টি হলেই ভবনের ছাদ ও দেয়াল চুঁইয়ে পানিতে মেঝে গড়িয়ে যায়। ভবনটি ঝুকিপূর্ণ হওয়ায় এই অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারাী এবং দলিল লেখক ও সেবা গ্রহিতারা নিত্য ভোগান্তির শিকার হন।সরেজমিনে জানা যায়, শাহজাদপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের নিজস্ব ৭২ শতাংশ জমির ওপর ১৯৮৯ সালে ভবনটি নির্মাণ করে গণপূর্ত বিভাগ। প্রায় ৩৬ বছর পেরিয়ে গেছে। ইতোমধ্যে শাহজাদপুর উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার অফিসের একতলা ভবনটি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। জরাজীর্ণ এই ভবনটি দীর্ঘ সময় সংস্কার না হওয়ায় দেখতে কালো ধুসর বর্ণ ধারণ করে আছে। শাহজাদপুর উপজেলা শহরের মেইন সড়কের পাশে অবস্থিত এই অফিসের সম্মুখভাগে সড়কের পাশে পুরাতন টিনের বাউন্ডারি আধাভাঙ্গা অবস্থায় দেখতেও খারাপ লাগে।ভবনের ছাদ ও ভীমের পলেস্তরা খুলে রড বের হয়ে আছে। যে কোনো সময় দূর্ঘটনার শিকার হতে পারেন ভবনের ভেতরে কর্মরতরা। ছাদ ও দেয়ালে ফাঁটল দেখা দিয়েছে। ফাঁটল দিয়ে পানি চুঁইয়ে ভবনে থাকা আসবাবপত্র ও মূল্যবান দলিল দস্তাবেজ ভিজে নষ্ট হওয়ার আশংকায় থাকেন কর্মকর্তারা। বৃষ্টি নামা শুরু হলেই দলিলপত্র জড়ো করে ছাতা বা পলিথিন পেপার দিয়ে ঢেকে রাখা হয়। সরকারি এ অফিস থেকে প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব আদায় হয় কিন্তু অফিস ভবন মেরামতে নেই কোনো উদ্যোগ।দলিল লেখক আবুল কালাম আজাদ বলেন ‘বহুদিন আগের ভবন সংস্কারের অভাবে এটি ঝুকিপূর্ণ হয়ে আছে। মানুষ বেড়েছে। নতুন ভবন নির্মাণ করে অফিসের স্পেস বাড়ানো দরকার। অল্প জায়গার মধ্যে গাদাগাদি করে আমরা কাজ করি। এতে সমস্যা হয়। এ ছাড়াও অফিসের চারদিকে দেয়াল এবং গেইট নির্মাণ করা একান্ত প্রয়োজন।দাবারিয়া গ্রামের জমি বিক্রেতা মানিক ফকির বলেন, এই সাব রেজিস্ট্রার অফিসে পয়োনিষ্কাশন,বাথরুমের অভাব, ব্রেস্ট ফিডিং রুমসহ সুযোগ সুবিধা বাড়ানোর দাবি জানাচ্ছি।শাহজাদপুর সাব রেজিস্ট্রার মো রবিউল ইসলাম বলেন, বছরে প্রায় অর্ধশত কোটি টাকা রাজস্ব আয় হয় এই সাব রেজিস্ট্রি অফিস থেকে। অথচ ভবনটি অনেক দিন যাবত ঝুঁকিপূর্ণ। বৃষ্টি হলেই ভবনের ছাদ দিয়ে পানি পড়ে। পলেস্তারা খসে মাথার উপর পড়ে। ভবন সংস্কারের জন্য জরিপ পূর্বক সিরাজগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগ দেড় বছর আগে পত্র পাঠালেও তা এখনো আলোর মুখ দেখেনি। নতুন ভবন নির্মাণ অথবা অত্র ভবন সংস্কারের উদ্যোগ নেয়ার জন্য তিনি জোর দাবি জানান।এসআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর