চট্টগ্রামের মিরসরাই পৌর সদরে গতকাল (১৪ এপ্রিল) বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। ঘটনাস্থলে অসংখ্য লোকজনকে লাঠিসোঁটা হাতে ছুটোছুটি করতে দেখা যায়—যা একটি ভিডিও ক্লিপে স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে। যা নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে।মূলত সম্প্রতি বিএনপির তিন ইউনিট—মিরসরাই উপজেলা, বারইয়ারহাট পৌরসভা ও মিরসরাই পৌরসভার কমিটি ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকেই পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা বিভিন্ন সময় বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ করে আসছিলেন। এ নিয়ে দলীয় কোন্দল বাড়তে থাকে, যারই ধারাবাহিকতায় একের পর এক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। গতকালের সংঘর্ষ চলাকালে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।এই বিষয়ে ১৫ এপ্রিল (মঙ্গলবার) সময়ের কণ্ঠস্বর-এর মিরসরাই উপজেলা প্রতিনিধি পুলিশের উপস্থিতি সম্পর্কে জানতে মিরসরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আতিকুর রহমানের কাছে প্রশ্ন রাখেন: “গতকালের ঘটনায় পুলিশের উপস্থিতি ছিলো কিনা বা কেমন ছিল?”কিন্তু ওসি আতিকুর রহমান জবাব না দিয়ে পাল্টা প্রশ্ন করেন: “আপনি তখন কোথায় ছিলেন? আপনি জনগণকে জিজ্ঞেস করেন।”এ প্রসঙ্গে প্রতিবেদক বলেন, “আমি কোনো বিতর্কে যাইনি। শুধু জনস্বার্থে একটি প্রশ্ন করেছি। অথচ একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তার কাছ থেকে এমন প্রতিক্রিয়া পাওয়া অত্যন্ত দুঃখজনক।”সংঘর্ষের ভিডিও ক্লিপ ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে দেখা যায়, সংঘর্ষকারীরা দলবদ্ধভাবে লাঠিসোঁটা নিয়ে সড়কে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অথচ পুলিশের কোনো দৃশ্যমান তৎপরতা নেই।ওসির এই মন্তব্য গণমাধ্যমকর্মীদের মাঝে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। সাংবাদিক সমাজ বলছে, “প্রশাসনের কাজ হলো স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা। কোনো প্রশ্নের জবাবে পাল্টা প্রশ্ন করা একজন সরকারি কর্মকর্তার কাছ থেকে কাম্য নয়।”এমআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর