স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের খাবারের তালিকায় এখন বেশ জনপ্রিয় ‘চিয়া সিড’। প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও পুষ্টি পাওয়া যাবে এই চিয়া সিডে। প্রাচীনকাল থেকেই এটি খাওয়ার প্রচলন রয়েছে। দুধ ডিমের থেকেও চিয়া সিডে বেশি প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম রয়েছে বলেই জানা যায়। চিয়া সিডে প্রচুর ফাইবার রয়েছে। তাই পানিতে ভেজানো চিয়া সিড খেলে অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভর্তি থাকে এবং বারবার খাওয়ার প্রবণতা কমে। তাই ওজন কমাতে সাহায্য করে। তবে মেদ কমাতে চিয়া সিডের সরাসরি কোনো ভূমিকা আছে কি না, তার প্রমাণ পাওয়া যায়নি।চিয়া সিডে ফাইবার, প্রোটিন, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস ইত্যাদি পুষ্টি উপাদান আছে। এতে থাকা ওমেগা-৩ হৃদ্রোগের ঝুঁকি ও ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। শরীরে শক্তি ও কর্মদক্ষতা বাড়ায়। প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়। হজমে সাহায্য করে, ক্যানসার রোধ করে। শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ (টক্সিন) বের করতে সাহায্য করে।চিয়া সিড খাওয়ার প্রভাব: দীর্ঘ সময় শরীরে শক্তি সরবরাহ করতে পারে। ভাত, মাছ, মাংস, দুধ ইত্যাদি খাদ্য উপকারী, তবে চিয়া সিড ভেজানো পানি যদি পান করা হয়, তবে এটি দীর্ঘক্ষণ পেট ভরাট রাখলেও পর্যাপ্ত পুষ্টি সরবরাহ নাও করতে পারে। চিয়া সিডের উপকারিতা: চিয়া সিড খাওয়া অধিকাংশ মানুষের জন্য উপকারী। এটি পানীয় হিসেবে খাওয়া যেতে পারে কিংবা সালাদ বা টক দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে নেওয়া যেতে পারে। এক চামচ চিয়া সিড ভেজাতে তিন চামচ পানি ব্যবহার করা উচিত। এটি গ্রহণ করলে অতিরিক্ত ভাজাপোড়া খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমবে, যা হজমের জন্য ভালো এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সহায়ক। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও এটি উপকারী। ইফতারে কম ক্যালরি গ্রহণ করলেও রাতের খাবারে তা পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব।ব্যক্তিগত প্রয়োজন অনুযায়ী সিদ্ধান্ত: সাধারণভাবে চিয়া সিড খাওয়া অধিকাংশ মানুষের জন্য ভালো। তবে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে সেহরিতে এটি গ্রহণ করা যেতে পারে। তবে এক্ষেত্রে নিশ্চিত করতে হবে যে সেহরিতে পর্যাপ্ত পুষ্টি গ্রহণ করা হচ্ছে। পানীয় হিসেবে গ্রহণের ক্ষেত্রে এটি খাবারের অন্তত ১৫-২০ মিনিট আগে খাওয়া উচিত। এছাড়া, পানিতে আধা ঘণ্টা ভিজিয়ে নিতে হবে, তাই সময়মতো ঘুম থেকে ওঠার বিষয়টিও বিবেচনায় রাখা জরুরি।সুতরাং, চিয়া সিড গ্রহণের উপযুক্ত সময় নির্ভর করে ব্যক্তির শারীরিক চাহিদা ও অভ্যাসের উপর। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ইফতারে এটি গ্রহণ করাই সর্বোত্তম বলে বিবেচিত হয়।এইচএ
Source: সময়ের কন্ঠস্বর