ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে বাঙ্গরা বাজারের ব্যবসায়ীদের থেকে উত্তেলিত চাঁদার টাকা আদায়ের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীরা। শনিবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে বাঙ্গরা বাজারে চাঁদার টাকা আদায়ের দাবীতে সংবাদ সম্মেলনে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মোঃ এরশাদ মিয়া।তিনি বলেন, বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে বাঙ্গরা বাজারের তৎকালীন কমিটির সভাপতি রবিউল আউয়াল রবি ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুসের নেতৃত্বে বাঙ্গরা বাজারে নতুন করে দোকান তোলা বাবদ ১৪৯ জন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা বাবদ ৯৩ লাখ ৯৩ হাজার ৬ শ টাকা উত্তোলন করলেও ঐ টাকা ব্যবসায়ীদের কাছে এখনো ফেরত দেয়নি তৎকালীন কমিটি। চাঁদার টাকা আদায়ের লক্ষ্যে বাজারের ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা একপর্যায়ে বাজারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুসের দোকানে গেলে তিনি টাকা দিবে বলে নিজের দোকানে তালা দিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়, যার ফলে এখন পর্যন্ত চাঁদার টাকা ফেরত না পেয়ে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। এমন অবস্থায় ব্যবসায়ীদের টাকা যদি দ্রুত ফেরত না দেওয়া হয় তাহলে বাজারের ব্যবসায়ী কর্তৃক আইনশৃঙ্খলা অবনতি হওয়ার শঙ্কা রয়েছে বলে তিনি জানান। এসময় বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী তাদের টাকা ফেরতের দাবী জানান।সংবাদ সম্মেলন শেষে নবীনগর টু কোম্পানীগঞ্জ সড়কে বাঙ্গরা বাজারের ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহনে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবুল কাশেম, মহিউদ্দিন মোল্লা, মোঃ শিরু মিয়া, হাশেম মিয়া, বিকাশ চন্দ্র ভৌমিক, বোরহান উদ্দিন, ইয়ার হোসেন, এরশাদ মিয়া, হেলাল মিয়া, বিল্লাল মিয়া, হেলাল উদ্দিন, অপু মিয়া প্রমুখ।এসময় মানববন্ধনে অংশ নেওয়া কয়েকজন ব্যবসায়ী ও দোকান মালিকরা তাদের বক্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সরকার পতনের আগে বাঙ্গরা বাজার পরিচালনা কমিটির বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে সাহস পেতো না। তারা বাজারের বেশ কয়েকটি দোকান অবৈধভাবে দখল করেছিলো এবং প্রায় দুই শতাদিক ব্যবসায়ীদের থেকে গত কয়েক বছরে বিভিন্ন অজুহাতে চাঁদা বাবদ লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তাই এখন ব্যবসায়ীদের থেকে হাতিয়ে নেওয়া সকল টাকাগুলো আমরা তৎকালীন বাজার কমিটির কাছে ফেরত চাই। তারা আরো বলেন, ব্যবসায়ীদের থেকে চাঁদা বাবদ হাতিয়ে নেওয়া টাকা বাজার কমিটি ফেরত দিতে গরিমসি বা তালবাহানা করলে সকল ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা অতি দ্রুত প্রশাসনের দারস্ত হবেন বলেও কঠোর হুশিয়ারী দেন।এব্যাপারে তৎকালীন বাঙ্গরা বাজার পরিচালনা কমিটির কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।এসআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর