ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বর্বর হামলা ও গণহত্যার প্রতিবাদে আজ ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘মার্চ ফর গাজা’ শিরোনামে জমায়েতের ডাক দিয়েছে ‘প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশ’ নামে একটি প্ল্যাটফর্ম। এ কর্মসূচি ঘিরে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।শনিবার (১২ এপ্রিল) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশপাশের এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিকে ঘিরে ডিএমপির পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশের পাশাপাশি পৃথক ট্রাফিক পরিকল্পনাও গ্রহণ করা হয়েছে।ডিএমপির গোয়েন্দা প্রধান রেজাউল করিম মল্লিক জানান, ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিকে ঘিরে গোয়েন্দারা সজাগ রয়েছেন। পাশাপাশি কর্মসূচির নিরাপত্তার জন্য ডিবির সাইবার টিমও কাজ শুরু করেছে। তিনি আরও বলেন, এ ছাড়া ডিবির একাধিক টিম কাজ করছে। সুন্দরভাবে যেন এই কর্মসূচি সফল হতে পারে সে জন্য গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।প্রসঙ্গত, ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে সামিল হচ্ছে বিএনপি, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), জামায়াতে ইসলাম, হেফাজতে ইসলামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন। এতে সভাপতিত্ব করবেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মাওলানা আব্দুল মালেক।এদিকে, ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীদের জন্য কিছু দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেগুলো হলো-১. অংশগ্রহণকারীরা নিজ দায়িত্বে ব্যক্তিগত প্রয়োজনীয় সামগ্রী যেমন পানি, ছাতা, মাস্ক সঙ্গে রাখতে এবং পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে।২. যে কোনো পরিস্থিতিতে ধৈর্য ও শৃঙ্খলা বজায় রেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার আহ্বান জানানো হয়েছে।৩. রাজনৈতিক প্রতীকবিহীন, সৃজনশীল ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। শুধু বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের পতাকা বহনের মাধ্যমে সংহতি প্রকাশ করতে অনুরোধ করা হয়েছে।৪. দুষ্কৃতকারীদের অপতৎপরতা প্রতিহত করতে সক্রিয় থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা নিতে বলা হয়েছে।এমআর-২
Source: সময়ের কন্ঠস্বর