চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের চলমান বাণিজ্য যুদ্ধ আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) চীনের অর্থ মন্ত্রণালয় ঘোষণা দিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর শুল্কহার ৮৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশে উন্নীত করছে। এই নতুন শুল্ক শনিবার (১২) থেকে কার্যকর হবে।চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ইউরোপীয় ইউনিয়নকে বেইজিংয়ের সঙ্গে একত্র হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ‘একতরফা নিপীড়নের’ বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো আহ্বান জানানোর কয়েক ঘণ্টা পরেই এই ঘোষণা আসলো।এর আগে বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক ১৪৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়ে দেন। তার আগে বুধবার (৯ এপ্রিল) চীনা পণ্যে ১০৪ শতাংশ শুল্ক কার্যকর করে ট্রাম্প প্রশাসন। এর পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে বৃহস্পতিবার চীনও মার্কিন পণ্যে শুল্ক বাড়িয়ে ৩৪ থেকে ৮৪ শতাংশ করে। আর একদিন পরেই মার্কিন পণ্যে নতুন করে শুল্ক আরোপ করলো বেইজিং।চীনের অর্থ মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বর্তমান শুল্কহারের প্রেক্ষাপটে মার্কিন পণ্যের জন্য চীনা বাজারে গ্রহণযোগ্যতার কোনো সম্ভাবনা নেই। যুক্তরাষ্ট্র বারবার অস্বাভাবিকভাবে উচ্চহারে যে শুল্ক আরোপ করছে, তা এখন শুধুই একটি সংখ্যার খেলা হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং এটির কোনো বাস্তব অর্থনৈতিক বাস্তব ভিত্তি নেই।বেইজিংয়ের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কনীতির কারণেই বিশ্ব অর্থনীতি, বাজার ও বহুপাক্ষিক বাণিজ্য ব্যবস্থাগুলো বড় ধাক্কা খেয়েছে। এই বৈশ্বিক অস্থিরতার সম্পূর্ণ দায় যুক্তরাষ্ট্রকেই নিতে হবে। জিনপিং প্রশাসন আরও দাবি করেছে, ট্রাম্প অন্যান্য দেশের ওপর শুল্ক স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চীনের চাপের ফলেই।এদিকে, ট্রাম্প বুধবার চীনের বাইরে বিশ্বের অন্যান্য দেশের ওপর ৯০ দিনের জন্য শুল্ক স্থগিতের ঘোষণা দেন, তবে চীনের ক্ষেত্রে শুল্ক আরও বাড়ানোর কথা বলেন। এর কারণ হিসেবে তিনি বেইজিংয়ের পক্ষ থেকে ‘সম্মানবোধের অভাব’ অনুভব করেছেন বলে উল্লেখ করেন।এবি
Source: সময়ের কন্ঠস্বর