গ্রীষ্মকাল শুরুর পর দেশের বিভিন্ন স্থানে কম-বেশি বৃষ্টিপাত হলেও কিশোরগঞ্জ জেলা শহরসহ জেলার অধিকাংশ এলাকায় বৃষ্টিপাত হয়নি। বৃষ্টিপাত না হওয়ার কারণে প্রচণ্ড তাপদাহে জন-জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে বৃষ্টির দেখা পেল কিশোরগঞ্জবাসী।বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সারাদিন সূর্যের তেজ থাকলেও বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আকাশে ছোট ছোট মেঘের আনাগোনা শুরু হয়। এরপর শুরু হয় দমকা হাওয়া। পরে আকাশ কালো হয়ে বাতাসের সঙ্গে শুরু হয় বৃষ্টি। প্রায় আধা ঘণ্টার মাঝারি বৃষ্টিতে রাস্তাঘাটে পানি জমে যায়। সজিব হয়ে ওঠে গাছপালা। জনজীবনে ফিরে আসে খানিকটা স্বস্তির পরশ।অনেকদিন পর প্রকৃতির শীতল পরশ পেতে ধুলোকে উপেক্ষা করে অনেক বাড়িতে দরজা জানালা খুলে দিয়ে প্রকৃতির শীতলতায় নিজেকে শীতল করতেও দেখা গেছে। এমন বৃষ্টির জন্য দীর্ঘদিন তারা অপেক্ষায় ছিলেন। অনেককে বৃষ্টিতে ভিজতে দেখা যায়। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির সঙ্গে দমকা হাওয়ায় চারপাশে তাপমাত্রা কমে এসেছে। দু-এক দিনের মধ্যে আরও বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে কিশোরগঞ্জের নিকলী আবহাওয়া অধিদফতর।কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার যশোদল ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামের দুলাল মিয়া বলেন, বেশ কয়েকদিন ধরেই প্রচণ্ড গরমের কারণে অতিষ্ঠ ছিলাম। আজ বিকেলে ঘণ্টা বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টিতে জনজীবনে স্বস্তি এসেছে।উল্লেখ, গত বুধবার (২৬ মার্চ) বেলা ১১টায় কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার যশোদল ইউনিয়নের চিকনীরচর এলাকার ভুরভুরিয়া বিলের উত্তর পাশে এক বিস্তীর্ণ পতিত জমিতে বৃষ্টির আশায় ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন এলাকাবাসী।এইচএ
Source: সময়ের কন্ঠস্বর