বরগুনার পাথরঘাটা থেকে ১২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্ব গভীর বঙ্গোপসাগরে পাথরঘাটার মালিকাধীন ৪টি ট্রলারে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতিতে বাধা দেয়ার সময় ৪টি ট্রলারের জেলেদের উপর গুলি করে জলদস্যুরা । এ সময় বেশ কয়েকজন জেলে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। একই সঙ্গে ওই ট্রলারে থাকা জ্বালানি তেল, খাবার সামগ্রী, মাছসহ প্রয়োজনীয় সকল জিনিস লুট করে নিয়ে গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার বেলা ১১টার দিকে।বরগুনা পাথরঘাটার ছগির হোসেনের মালিকানাধীন এফবি তারেক-১ ও এফবি আব্দুল্লাহ তুফান-২ , সেলিম চৌধুরীর এফবি মা এবং মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর এফবি মদিনা এই ৪টি ট্রলারে ডাকাতি হয়।বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জেলেদের বরাত দিয়ে বলেন, বরগুনার পাথরঘাটা থেকে ১২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্ব গভীর বঙ্গোপসাগরের বাইচদা বয়া এলাকায় বুধবার দুপুর ১১টার দিকে বরগুনার পাথরঘাটা এলাকার বেশ কয়েকটি ট্রলারে মাছ শিকার করছিল। এ সময় সশস্ত্র ডাকাত দলের সদস্যরা হামলা চালিয়ে এফবি তারেক-১, এফবি আব্দুল্লাহ তুফান-২, এফবি মা ও এফবি মদিনা ট্রলারের জাল, জ্বালানি তেল, খাবার সামগ্রী, মাছ লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় এফবি তারেক-১ ট্রলারের তিন জেলে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তাদের গুলি করে ওই দস্যুবাহিনী। এতে ওই ১০ থেকে ১২ জন নেতাকর্মী ও জেলে গুলিবদ্ধ হয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে তাদের নাম পরিচয় জানা যায়নি। এছাড়া অপর তিন ট্রলারের বেশ কয়েকজন জেলে রামদার আঘাতে আহত হয়েছেন। ডাকাতি শেষে যাওয়ার সময় ওই ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল করে রেখে যায় দস্যু বাহিনী। পরে একদিন পর খবর পেয়ে পাথরঘাটা থেকে ট্রলার পাঠিয়ে ওই ট্রলার নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে কোষ্টগার্ডের পাথরঘাটা কন্টিনজেন্ট কমান্ডার মঈন আহমেদ বলেন, বিষয়টি আমরা শুনেছি, আমরা জেলেদের উদ্ধারের উদ্দেশ্যে সাগরে যাচ্ছি। এই সকল জেলেদের উদ্ধার করে অতি দ্রুত চিকিৎসা ব্যবস্থার আওতায় আনার চেষ্টা করব।এসআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর