জামালপুরের বকশীগঞ্জে সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যা মামলার প্রধান আসামি সাধুরপাড়া ইউপির বহিস্কৃত চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল আলম বাবুর জামিন বাতিল করে গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে সাধুরপাড়া ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। বিক্ষোভ মিছিল শেষে পরে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে ঘণ্টব্যাপী মানববন্ধন করেন তারা। মানববন্ধনে বক্তারা অবিলম্বে নাদিম হত্যা মামলার প্রধান আসামী আলম বাবুর জামিন বাতিল করে গ্রেফতারের দাবি জানান।অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন সাধুরপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি গাজীউর রহমান মোল্লা, সহ-সভাপতি রাশেদুজ্জামান সোনা মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন খান ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আনার আলী প্রমূখ। মানববন্ধনে নাদিমের বাবা, স্ত্রী ও সন্তানরাসহ এলাকার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।মানববন্ধনে সাধুরপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন খান বলেন,মাহমুদুল আলম বাবুর ভাই পুলিশের বড় কর্মকর্তা ছিলেন। তার দাপটে নানা অপকর্ম করেছেন খুনী বাবু। এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন। আবারও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ার দখলের পাঁয়তারা করছেন। দ্রুত বাবুকে গ্রেফতার করে শাস্তির দাবি জানান তিনি।উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ১৪ জুন পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে রাত আনুমানিক ১০টার দিকে নিজ বাসায় ফিরছিলেন সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম। পথে বকশীগঞ্জ পৌর শহরের পাটহাটি এলাকায় তাঁর ওপর হামলা হয়। তাঁকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে হামলাকারীরা। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাঁকে জামালপুর সদর হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। জামালপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৫ জুন বিকেল ৩টার দিকে মারা যান সাংবাদিক নাদিম। এ ঘটনায় ১৭ জুন ২২ জনের নামে থানায় হত্যা মামলা করেন নিহত নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম। অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয় ২০ থেকে ২৫ জনকে। মামলার প্রধান আসামি সাধুরপাড়া ইউপির বরখাস্ত চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু।এইচএ
Source: সময়ের কন্ঠস্বর