চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট বাদুরতলা এলাকায় এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ৪ এপ্রিল (শুক্রবার) রাতে স্থানীয় একটি ভবনের দ্বিতীয় তলার ফ্ল্যাট থেকে তামান্না নামের ২৫ বছর বয়সী এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতের স্বামী নাদিম ঘটনাটি ‘আত্মহত্যা’ বলে দাবি করলেও, তামান্নার পরিবারের অভিযোগ—এটি নিছক আত্মহত্যা নয়, বরং এটি একটি পূর্বপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।তামান্নার ভাইয়ের ভাষ্যমতে, তার বোন দীর্ঘদিন ধরে স্বামী নাদিমের কাছ থেকে নানাবিধ নির্যাতনের শিকার হচ্ছিলেন। তিনি জানান, “নাদিম প্রায়ই তামান্নার ওপর যৌতুকের জন্য চাপ প্রয়োগ করতেন। তাদের সংসারে অশান্তি লেগেই থাকত। আমার বোন মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিল। আমরা বহুবার সমাধানের চেষ্টা করেছি, কিন্তু কোনো ফল হয়নি। শেষ পর্যন্ত এ মর্মান্তিক পরিণতি, এটা আত্মহত্যা নয়, এটা স্পষ্ট হত্যাকাণ্ড।”স্থানীয় বাসিন্দারাও দাম্পত্য কলহের বিষয়টি সময়ের কণ্ঠস্বর-কে নিশ্চিত করেছেন। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, ঘটনার দিন সন্ধ্যার পর থেকেই তামান্না ও নাদিমের মধ্যে তর্কবিতর্ক চলছিল। পরে রাতেই হঠাৎ তামান্নার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান স্বামী নাদিম, যিনি পরে পুলিশে খবর দেন এবং নিজেই থানায় আত্মসমর্পণ করেন।পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোলাইমান সময়ের কণ্ঠস্বর-কে জানান, “আমরা ঘটনাস্থল থেকে প্রাথমিক আলামত সংগ্রহ করেছি। প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলে মনে হলেও আত্মহত্যায় প্ররোচণার অভিযোগও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এবং অন্যান্য ফরেনসিক বিশ্লেষণ শেষে প্রকৃত কারণ জানা যাবে।”নিহত তামান্নার ভাই বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় তিনি তার বোনের স্বামী নাদিমের বিরুদ্ধে যৌতুক-নির্যাতন এবং পরিকল্পিতভাবে হত্যা করার অভিযোগ এনেছেন। এর ভিত্তিতে পুলিশ নাদিমকে আটক করেছে এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
Source: সময়ের কন্ঠস্বর