রাজশাহী ট্রাক মালিক সমিতি ও জেলা ফার্টিলাইজার এসোসিয়েশনের সভাপতি আবুল কালামের নিঃশর্ত মুক্তি এবং তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।রোববার (১৬ মার্চ) দুপুর ২টায় মহানগরীর একটি রেস্তোরাঁয় এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে রাজশাহী ট্রাক মালিক সমিতি ও জেলা ফার্টিলাইজার এসোসিয়েশন।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন রাজশাহী বিএডিসি ডিলার এসোসিয়েশনের সভাপতি মাহফুজুল হাসনাইন। তিনি বলেন, “বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রেতাত্মাদের ষড়যন্ত্র এখনো বিদ্যমান। তারই অংশ হিসেবে আবুল কালামকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে আটক করা হয়েছে, যা অত্যন্ত নিন্দনীয়।”তিনি অভিযোগ করেন, বোয়ালিয়া থানার সাবেক অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মেহেদী মাসুদ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মামলার এজাহারের বাইরে ৭৪ জনের নাম যুক্ত করেছেন, যা ষড়যন্ত্রের বহিঃপ্রকাশ।সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, মামলার বাদী ওসামা বিন ইকবাল এজাহারে সংযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহার করে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে একটি এফিডেভিট করেছেন এবং তা বোয়ালিয়া থানা ও আরএমপি কমিশনার বরাবর প্রেরণ করেছেন। তারপরও আবুল কালামের আটকাদেশ আইন অবমাননার শামিল বলে অভিযোগ করেন নেতৃবৃন্দ।তারা দাবি করেন, এই আটকের ফলে রাজশাহীর ট্রাক পরিবহন ও কৃষি খাতে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে, যা বর্তমান সরকারকে বিপাকে ফেলবে।সংবাদ সম্মেলন থেকে পুলিশ প্রশাসনের ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয় এবং আবুল কালামের মুক্তির জন্য রাজশাহী জেলা প্রশাসক ও আরএমপি পুলিশ কমিশনার বরাবর স্মারকলিপি দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। প্রয়োজনে আরও কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন নেতারা।সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ফার্টিলাইজার এসোসিয়েশনের রাজশাহী জেলার সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম, বিএডিসি ডিলার এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শরিফ উদ্দীন, রাজশাহী ট্রাক মালিক সমিতির সহ-সভাপতি তোজাম্মল, সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান, সড়ক সম্পাদক বারী উল আলম, দপ্তর সম্পাদক শামসুজ্জোহা মিলন, বিসিআইসি সার ডিলার আফজাল হোসেনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।এমআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর