পটুয়াখালীর বাউফল তেঁতুলিয়া নদীতে তরমুজ বোঝাই ট্রলারে ডাকাতির সময় গণপিটুনিতে গুরুতর আহত এক ডাকাত সদস্য মারা গেছে। ডাকাতদের হামলায় তরমুজভর্তি ট্রলারের তিন ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।আহত ব্যক্তিরা হলেন-গলাচিপা উপজেলার চরকাজল ইউনিয়নের কপালবেরা গ্রামের তরমুজ চাষী মো. শহিদুল ইসলাম(৫৮), ডাকুয়া গ্রামের নুর ইসলাম সরদারের ছেলে মো. মেহেদী হাসান (৩৪) ও ট্রলার চালক মো. সেলিম মাঝি (৫৭)। পুলিশ ও আহত ব্যক্তিদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত শুক্রবার দিবাগত রাতে গলাচিপা উপজেলার চরকাজল থেকে শহিদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি ১০ হাজার তরমুজ নিয়ে চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। শনিবার (১৫ মার্চ) ভোরে রাত সাড়ে তিনটার দিকে তেঁতুলিয়া নদীর বাউফলের তালতলী মোহনা এলাকায় পৌঁছালে সাত আটজন সশস্ত্র ডাকাতদল একটি দ্রুতগতির ট্রলার নিয়ে তরমুজের ট্রলারটিকে ধাওয়া করে। একপর্যায়ে ধুলিয়া লঞ্চঘাট এলাকায় গিয়ে তরমুজভর্তি ট্রলারের নিয়ন্ত্রণ নেয় ডাকাত দল। ওইসময় ডাকাতেরা ট্রলার চালকসহ ট্রলারে থাকা তিন ব্যক্তিকে কুপিয়ে আহত করে। নিরুপায় হয়ে তরমুজের ট্রলারে থাকা লোকজন পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তুলে। একজন ডাকাতকে ঝাপটে তাঁরা ধরে ফেলে এবং ট্রলারে থাকা লোকজনের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে আসে। তখন বাকি ডাকাতেরা পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। আর ট্রলারে আটকে থাকা ওই ডাকাততে স্থানীয় লোকজন গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে ভোর পাঁচটার দিকে গুরতর আহত ডাকাতসহ তরমুজের ট্রলারের লোকজনকে পুলিশ উদ্ধার করে। গুরুতর আহত ডাকাতকে প্রথমে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে ওই ডাকাতের মৃত্যু হয়।বাউফল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতিকুল ইসলাম এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেনে, তদন্তের স্বার্থে নিহত ডাকাতের নাম ও পরিচয় প্রকাশ করা যাবে না। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।এসএর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর