ভোলার চরফ্যাশনে সমুদ্রগামী ৫০ জেলের মধ্যে বকনা বছুর বিতরণ করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তার আয়োজনে উপজেলা নির্বহী অফিসার রাসনা সারমিন মিথি সমুদ্রগামী জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের লক্ষে গরুগুলো জেলেদের মধ্যে বিতরণ করেন।উপজেলা মৎস্য অফিস সুত্রে জানা যায়, সমুদ্রগামী জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের লক্ষে কৃষি সম্পদ উন্নয়ন ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় ৪৮ কেজি থেকে ৬০ কেজি ওজনের প্রতিটি গরুর মূল্য ৩০ হাজার টাকা মূল্য নিদ্দারন করে এ এন এন্টার প্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যেমে চরফ্যাসন উপজেলার ৫০ জেলের জন্য ৫০টি বকনা বছুরের বরাদ্দ হয়। সেই ধারাবাহিকতায় বিতরন কার্যক্রম শুরু করা হয়।সুবিধাভোগী জেলে মো. কামাল হোসেন জানান, ইলিশ শিকারের চলমান নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সময়ে বেকার হয়ে পড়েন উজেলার জেলেরা। তাদের বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সহযোগিতায় সরকার বকনা বাছুর দিয়েছেন এতে আমাদের অনেক উপকার হয়েছে। মাছ শিকারের পাশাপাশি গবাদী পুশু পালন করে একটি কর্মসংস্থানের সুযোগ পেয়েছি।বৃদ্ধ জেলে সুলতান আহম্মেদ জানান, মাছ শিকার বন্ধ থাকাকালীন সময়ে বেকার হয়ে পড়েছি। তবে একটি বকনা বছুর পেয়ে আমার একটি বিকল্প কর্মসংস্থান হয়েছে। এতে আমাদের অভাব লাঘব হয়েছে।উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার অপু জানান, সমুদ্রগামী জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য জেলেদের মধ্যে বকনা বছুর দেয়া হয়েছে।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসনা শারমিন মিথি জানান, সমুদ্রগামী জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের লক্ষে কৃষি সম্পদ উন্নয়ন ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের একটি ব্যতিক্রম উদ্যোগ। এতে মাছ শিকারের পাশাপাশি গবাদী পুশু পালন করে জেলেরা বাড়িতে আয়ের সুযোগ পেয়েছে।এমআর-২
Source: সময়ের কন্ঠস্বর