জলাবদ্ধতা নিরসনে ঐতিহ্যবাহী নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের অধ্যক্ষের বাসভবনের পূর্ব পাশের চিত্রা নদীতে যাওয়ার সরকারি রাস্তা ও ঘাট সংস্কারের দাবী এলাকাবাসীর। পুরানো ম্যাপে নদীতে যাওয়ার ঘাট ও রাস্তা থাকলেও নতুন ম্যাপে ভুলক্রমে ঘাট ও রাস্তা না থাকা এবং অধ্যক্ষের বাসভবনের সীমানা প্রাচীরের মাঝখান দিয়ে রাস্তা যাওয়ায় সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমান খসড়া ম্যাপে ভুল হওয়ায় সেটা সংশোধন না করে একটি লোক রাস্তা ও ঘাট বন্ধ করে দিতে চাচ্ছেন। নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের অধ্যক্ষের বাসভবনের পূর্ব পাশে ভিআইপি মহল্লার বাসিন্দারা পৌরসভার প্রশাসক ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন দলবদ্ধতা নিরসনে আসন্ন বর্ষা মৌসুম আসার আগেই ড্রেন ও পুরনো ঘাট সংস্কার করতে হবে।চিত্রা নদীর উক্ত রাস্তার পাশের বাসিন্দা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন খান ডালু ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে রাস্তাও ড্রেনের ব্যবস্থা করলেও ম্যাপে সমস্যার কারণে পৌরসভার পক্ষে কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না।নড়াইল সরকারি ভিক্টরিয়া কলেজের অধ্যক্ষের বাসভবনের পাশে বসবাস করা কলেজের কর্মচারী রঘু ও মিতা জানান,‘বৃষ্টি শুরু হলেই নদীতে জল দ্রæত নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় এই মহল্লায় জলবদ্ধতা সৃষ্টি হয় এবং সেই জল আমার বসবাসের ঘরে উঠে হাটু জল হয়। তাই বর্ষা বৃষ্টি আসার আগেই এর সমাধান করতে হবে।,বিশিষ্ট সমাজসেবক ব্যবসায়ী আইয়ুব খান বুলু জানান, ‘এখানে অনেক পূর্ব থেকেই চিত্রা নদীতে যাওয়ার রাস্তা ও ঘাট ছিল। মহল্লা বাসির শান্তিতে বসবাস করার স্বার্থে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা থাকা উচিত।,কুড়িগ্রাম উন্নয়ন কমিটির সভাপতি ও নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ গোবিন্দ নাগ জানান, ‘নড়াইল পৌরসভার এই মহল্লায় অধ্যক্ষ,অ্যাডভোকেট,ব্যবসায়ী ডাক্তার, সাংবাদিক এর বসবাস। তারপরও এই মহল্লা অবলিত। বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে যাতায়াতের অনুপযোগী হয়। আমরা একাধিকবার পৌরসভার মেয়র ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জানানোর পরও সেটার আজ অবধি সমাধান হয়নি।,এ বিষয়ে নড়াইল পৌরসভার ইঞ্জিনিয়ার হায়দার আলী জানান, ‘রাস্তা ম্যাপে না থাকলে কাজ করা কঠিন হবে। কারণ পৌরসভা উন্নয়ন কাজে ঝামেলা হলে সেটা করেনা।ম্যাপে ভুল হওয়ার বিষয়ে এডিসি রেভিনিউ জুবায়ের হোসেন বলেন,‘ম্যাপে ভুল হলে বিচলিত হবার কিছু নেই। এলএসটি মামলা দিয়ে সংশোধন করা যায়।,উল্লেখ্য, নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের অধ্যক্ষের বাসভবনের পূর্ব পাশের মহল্লার বাসিন্দারা ও কুড়িগ্রাম উন্নয়ন কমিটির সভাপতি সেক্রেটারির সমন্বয়ে নড়াইল পৌরসভার সার্ভেয়ার দিয়ে মেপে দীর্ঘদিন বন্ধ করে রাখা নদীতে যাওয়ার রাস্তা ও ঘাট উন্মুক্ত করা হয় এবং বর্তমানে সেটা উন্মুক্ত অবস্থায় আছে। কিন্তু একটি লোক আবারও এটা বন্ধ করে দিয়ে জলবদ্ধতা সৃষ্টি করার পায়তারা করতেছে। মহল্লার অধিকাংশ বাসিন্দার দাবি দীর্ঘদিন নদীতে যাওয়ার রাস্তা ও ঘাট যে বন্ধ করে রেখে মহল্লা বাসীদের ভোগান্তিতে ফেলেছিল এবং ভবিষ্যতে আবারো ঝামেলা করতে চাচ্ছে তাকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়া উচিত।এমআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর