টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী এক কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে সুমন খাঁ নামের এক যুবক। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে গ্রাম্য শালিশে ১ লক্ষ টাকায় মিমাংসা করার চেষ্টা করে সালিশকারীরা। অতপর তিনমাস পর অভিযুক্ত সুমনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।অভিযুক্ত সুমন উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের শালদাইর গ্রামের জয়নাল খা’র ছেলে। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাতে অভিযুক্ত সুমন খাঁকে তার নিজ এলাকা থেকে গ্রেপ্তারের পর বুধবার সকালে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।মামলা সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত সুমন খাঁ বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই দৃষ্টি প্রতিবন্ধী কিশোরীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। একপর্যায়ে জোরপূর্বক ঐ দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের ঘটনাটি জানাজানি হলে কিশোরীর দুলাভাই বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরেও গোবিন্দাসী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মহির উদ্দিনের নেতৃত্বে একাধিকবার গ্রাম্য সালিশ বসে। সালিশে ধর্ষণের মূল্য হিসেবে ১ লাখ রায় দেয় সালিশকারীরা। গোবিন্দাসী ইউপি পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মহির উদ্দিন বলেন, ঘটনাটি কয়েক মাস আগের। এ ব্যাপারে কয়েক দফা গ্রাম্য সালিশ হয়েছিল। সর্বশেষ ভুক্তভোগী পরিবারকে ১ লাখ টাকা দিয়ে বিষয়টি সমাধান করা হয়।এদিকে অভিযুক্ত ও সালিশকারীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন এলাকাবাসী। অবশেষে অভিযুক্ত আসামি সুমন খাঁকে (৩০) তিন মাস পর গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম রেজাউল করিম বলেন, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত আসামি সুমন খাঁকে গ্রেপ্তার করে বুধবার টাঙ্গাইল আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।এসআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর