নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে আলোচিত গণধর্ষণ মামলার আসামি মো. অয়নকে (২২) গ্রেফতার করেছে র্যাব। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) র্যাব-১১ এর একটি দল মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া বাসস্ট্যান্ড থেকে তাকে গ্রেফতার করে।নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানার পিরোজপুর গ্রামের হালিম মিয়ার পুত্র অয়ন ওই মামলার এজাহারনামীয় অন্যতম আসামি। র্যাব-১১ এর কোম্পানি কমান্ডার মো. ইশতিয়াক হোসাইন সাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। মামলার বরাত দিয়ে র্যাব জানায়, গণধর্ষণের শিকার ওই নারী মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া থানার বাসিন্দা এবং পেশায় বাবুর্চির সহকারী। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি অসুস্থ বোনকে দেখতে তিনি দেবরকে সাথে নিয়ে নারায়ণগঞ্জের বন্দরের মদনপুরের একটি হাসপাতালে যান। ফেরার পথে তারা আনুমানিক রাত সাড়ে এগারোটার দিকে সোনারগাঁয়ের চিলারবাগ গ্রামের রাস্তার ফাঁকা জায়গায় পৌঁছালে সজীব, হাসান, অয়নসহ কমপক্ষে আটজন তাদের বহনকারী সিএনজিচালিত অটোরিকশা থামায়। এরপর তারা ওই নারী ও তার দেবরকে টেনেহিঁচড়ে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেয়৷ র্যাব আরও জানায়, রাত আনুমানিক ১১টা ৫৫ মিনিটের দিকে সোনারগাঁয়ের দৈলেরবাগ বড়বাড়ী গ্রামের মৃত লাল মিয়ার পরিত্যক্ত টিনসেড ঘরের ভিতরে নিয়ে গিয়ে সজীব, হাসান, অয়নসহ কমপক্ষে আটজন ওই নারীর দেবরকে বেধড়ক মারধর করে এবং সাথে থাকা টাকা ছিনিয়ে নেয়। এসময় তারা ওই নারীর স্বর্ণের দুলও নিয়ে নেয়৷ দিবাগত রাত ১২টা ১০ মিনিটের দিকে সজীব, হাসান, অয়নসহ আটজন ওই নারীকে জোরপূর্বক গণধর্ষণ করে। রাত আনুমানিক ১টা ৫০ মিনিটের দিকে তারা ওই নারী ও তার দেবরকে পরিত্যক্ত ঘরটি থেকে বের করে দেয়।গণধর্ষণের শিকার নারী পরবর্তীতে বাদি হয়ে সোনারগাঁ থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। আসামিদের গ্রেফতারের লক্ষে র্যাব-১১ গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে। এর ভিত্তিতে এজাহারনামীয় অন্যতম আসামি মো. অয়নকে গ্রেফতার করে র্যাব। পরবর্তী পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য তাকে সোনারগাঁও থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানায় র্যাব।বিজ্ঞপ্তিতে র্যাবের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১১ গত ৫ আগষ্ট ২০২৪ তারিখ হতে এখন পর্যন্ত দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় বিভিন্ন অভিযানে চাঞ্চল্যকর অপরাধী ৫১ জন, হত্যা মামলায় ৬৫ জন গ্রেফতার, ধর্ষণ মামলায় ৩১ জন গ্রেফতার, অস্ত্র সংক্রান্ত মামলায় ০৮ জন গ্রেফতারসহ ৭৯টি অস্ত্র, ১২৭০ রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধার এবং ২১৫ জনেরও বেশি মাদক কারবারি গ্রেফতারসহ বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার করেছে। পাশাপাশি ৩৫ জন অপহরণকারী গ্রেফতারসহ ২৪ জন ভিকটিম উদ্ধার এবং ছিনতাইকারী ও ডাকাত ৪৪ জন, জেল পলাতক ৩৩ জনসহ অন্যান্য অপরাধী প্রায় ২১৪ জনকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে র্যাব-১১ জনগণের সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।এআই
Source: সময়ের কন্ঠস্বর