আসন্ন এসএসসি, দাখিল ও সমমান পরীক্ষা ২০২৫ উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের খোঁজখবর নিতে শিক্ষার্থীদের বাড়িতে যাচ্ছেন কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ নাজমুল ইসলাম । শিক্ষার জন্য এ প্রশাসনিক কর্মকর্তা ঘরে ঘরে শিক্ষার আলো জ্বালাতে নিজের দায়িত্ববোধ থেকে ছুটে চলেছেন উপজেলার এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) বিকেলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ইউএনও’র শিক্ষার্থীদের খোঁজখবর নেওয়ার চিত্রটি ভাইরাল হয়।জানা যায়, উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই মোঃ নাজমুল ইসলাম শুধু প্রশাসনিক কাজেই সীমাবদ্ধ থাকেননি, বরং উপজেলায় শিক্ষার মান উন্নয়ন ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে গ্রহণ করেছেন একাধিক ব্যতিক্রমী কার্যক্রম। তারই অংশ হিসেবে তিনি শুরু করেছেন শিক্ষার্থীদের বাড়ি গিয়ে খোজখবর নেওয়ার পরিকল্পনা।হোম ভিজিটকালে ইউএনও নাজমুল ইসলাম শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেন, তাদের পরীক্ষার প্রস্তুতির খোঁজ নেন এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি অভিভাবকদেরও পরামর্শ দেন কীভাবে সন্তানদের আরও ভালোভাবে পড়াশোনায় মনোযোগী করা যায়।এ বিষয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, এমন একটি উদ্যোগে অভিভাবকদের মধ্যে স্বস্তি ও সন্তুষ্টি প্রকাশ পেয়েছে। তারা বলছেন, একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তার এমন সরাসরি সম্পৃক্ততা নিঃসন্দেহে শিক্ষাক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে।একজন অভিভাবক বলেন, ‘ইউএনও স্যার আমাদের বাসায় এসে সন্তানদের পড়ালেখার খোঁজ নিয়েছেন, এটা আমাদের জন্য খুব গর্বের ও আনন্দের। এতে আমরা যেমন উৎসাহিত হয়েছি, তেমনি সন্তানরাও আরও মনোযোগী হচ্ছে।’একজন শিক্ষার্থী জানায়, ইউএনও স্যারের উপহার এবং উৎসাহে আমরা অনেক অনুপ্রাণিত হয়েছি। এখন পড়াশোনায় আরও মনোযোগ দিচ্ছি।মিরপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জনাব হাফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, দীর্ঘ অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, ইউএনও মহোদয়ের এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে শিক্ষাক্ষেত্রে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে। তার হোম ভিজিট কার্যক্রম অত্যন্ত প্রশংসনীয় ও গ্রহণযোগ্য।ইউএনও নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য শুধু প্রশাসনিক দিক নয়, শিক্ষাক্ষেত্রেও একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আনা। এই উদ্যোগের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মনিটরিং, উৎসাহ প্রদান এবং শিক্ষার প্রতি মনোযোগ বৃদ্ধিই আমাদের উদ্দেশ্য। আমাদের শিক্ষার্থীরা যদি বইমুখী হয়, নিয়মিত পড়াশোনা করে, তাহলে তারা ভবিষ্যতে আরও ভালো করবে। এ কার্যক্রম চলমান থাকবে এবং ভবিষ্যতে আরও সম্প্রসারিত হবে।’মিরপুর উপজেলার সচেতন মহল, অভিভাবক, শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলছেন-এ রকম উদ্যোগ অব্যাহত থাকলে আগামী দিনে মিরপুর উপজেলায় শিক্ষার মান উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে।এনআই
Source: সময়ের কন্ঠস্বর